এর আগেও দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দেওয়ার আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী মণীশ জৈন। সেই ক্ষেত্রে ইডি পর্যাপ্ত নথি জমা দিচ্ছে না এবং অযথা অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে আটকে রাখা হয়েছে বলা হয়। ইডির পক্ষ থেকে সেই আবেদনের বিরোধিতা করা হয় । শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের যুক্তি শোনার পর অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ইডিকে চার সপ্তাহের মধ্যে ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
সপ্তাহখানেক আগে শ্বাসকষ্টের জন্য অনুব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন জেলবন্দি এই তৃণমূল নেতা। প্রায় দুই মাস হলো তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত। শারীরিক কারণে দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিহার জেল থেকে স্থানান্তরিত করে তাঁকে আসানসোল কারাগারে রেখে তদন্ত করার আবেদনও করেছেন অনুব্রত।
গরু পাচার মামলায় প্রথমে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে সমান্তরাল তদন্ত শুরু করে ইডি। আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে একাধিকবার জেরা করেন ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকরা। পরে, তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন ইডির আধিকারিকরা। তখন দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। তারপর থেকেই জামিনের প্রচেষ্টা করে আসছেন অনুব্রত। ১ জুন সেই মামলার শুনানি।