• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের টেলিভিশন সাক্ষাৎকার নিয়ে রিপোর্ট চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি

দিল্লি, ২৪ এপ্রিল– এক সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই টেলিভিশন সাক্ষাৎকার নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। তৃণমূল তরফে প্রশ্ন তোলা হয় সাখ্যাত্কারের পরই। সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনুসিঙ্ঘভির সওয়ালের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই নির্দেশ দেন। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রিপোর্টও চান

দিল্লি, ২৪ এপ্রিল– এক সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই টেলিভিশন সাক্ষাৎকার নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। তৃণমূল তরফে প্রশ্ন তোলা হয় সাখ্যাত্কারের পরই। সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনুসিঙ্ঘভির সওয়ালের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই নির্দেশ দেন। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রিপোর্টও চান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এ ব্যাপারে যদিও আগেই সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহতগি।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে বাংলা যখন সরগরম তখন একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সাক্ষাৎকারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এমন কিছু কথা বলেছিলেন যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে হইচই পড়ে গিয়েছিল। এই সাক্ষ্যাৎকারে তিনি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও মন্তব্য করেছিলেন।

এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের থেকে হলফনামা চেয়ে পাঠিয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কোনও টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কিনা তা হলফনামা হিসাবে শুক্রবারের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকেই জানুন উনি টিভিতে ইন্টারভিউ দিয়েছেন কিনা।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাজের ধরন নিয়ে এর আগে মুখ খুলেছেন আইজীবী অরুণাভ ঘোষ। আবার এজলাসে বসে নাম না করে অরুণাভবাবুকে হুঁশিয়ার করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এবার ব্যাপারটি সুপ্রিম কোর্টে গড়িয়েছে। আইনজীবী মুকুল রোহতগি সুপ্রিম কোর্টে তাঁর সওয়ালে সু্প্রিম কোর্টে বলেছেন, কলকাতা হাইকোর্টের ওই মহামান্য বিচারপতি সকালে নির্দেশ দিয়ে বিকেলের মধ্যে চাকরি খারিজ করে দিচ্ছেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না। উনি সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। হাইকোর্টের রোস্টারও মানছেন না। ওঁর বিরুদ্ধে রুল ইস্যু করা হোক।