এই বিতর্কিত ১২৩টি গ্রামের মধ্যে ৭১টি গ্রাম নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ২০২২-এর ১৫ জুলাই নামসাই ঘোষণার মাধ্যমে ২৭টি গ্রাম নিয়ে সমস্যা মিটে যায় । এই চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা হল আরও ৩৪টি গ্রামের। এই ৭১টি গ্রামের মধ্যে, একটি গ্রাম অরুণাচল প্রদেশ থেকে অসমের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ১০টি গ্রাম অসমেরই থাকবে। বাকি ৬০টি গ্রাম অসম থেকে অরুণাচল প্রদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকি ৫২টি গ্রামের মধ্যে, ৪৯টি গ্রামের সীমানা আগামী ছয় মাসের মধ্যে আঞ্চলিক কমিটিগুলি চূড়ান্ত করবে। বাকি তিনটি গ্রাম রয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনার অধীন । তাই এই তিনটি গ্রামের ক্ষেত্রে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই রাজ্যের সরকারই এই ১২৩টি বিতর্কিত গ্রামের বিষয়ে সাম্প্রতিক চুক্তিটিকেই চূড়ান্ত বলে মেনে নিয়েছে। চুক্তিমতো , ভবিষ্যতে আর কোনও এলাকা বা গ্রাম নিয়ে কোনও রাজ্যই নতুন করে কোন দাবি জানাবে না। রাজ্যের সীমানা নির্ধারণের জন্য পরবর্তীকালে দুই সরকারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সার্ভে অব ইন্ডিয়া একটি বিশদ সমীক্ষা করবে।
এই চুক্তি স্বাক্ষর অসম এবং অরুণাচল প্রদেশ – দুই রাজ্যের জন্যই এক ঐতিহাসিক ঘটনা বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি বলেন, “আমরা ভারত এবং উত্তর-পূর্বের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হচ্ছি। আসাম এবং অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ, যা ১৯৭২ সাল থেকে চলছিল তার স্থায়ী সমাধান হল । এটি একটি বড় প্রাপ্তি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি শান্তিপূর্ণ, উন্নত এবং বিতর্কমুক্ত উত্তর-পূর্বের স্বপ্নের এক মাইলফলক। অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু ৫১ বছরের সীমান্ত বিরোধের নিষ্পত্তিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক’ বলে জানান। তিনি বলেন, “এই চুক্তি দুই রাজ্যেই শান্তি ও উন্নয়নে পরিবর্তনের বার্তা আনবে, এই বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।”