• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

একদিনে করোনার বলি ২৮, রাজ্যে সাতদিনে সংক্রমণ তিনগুণ

দিল্লি, ২১ এপ্রিল– এখন আর করোনার রক্তচক্ষুকে ভয় পেতে নারাজ মানুষ। কিন্তু তবুও এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধু আক্রান্তের সংখ্যায় নয়, দৈনিক মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। স্রেফ গত তিন দিনে দেশে করোনায় প্রায় শতখানেক মানুষের প্রাণ গেল। এর পাশাপাশি দৈনিক সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড তো রয়েইছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা

দিল্লি, ২১ এপ্রিল– এখন আর করোনার রক্তচক্ষুকে ভয় পেতে নারাজ মানুষ। কিন্তু তবুও এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধু আক্রান্তের সংখ্যায় নয়, দৈনিক মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। স্রেফ গত তিন দিনে দেশে করোনায় প্রায় শতখানেক মানুষের প্রাণ গেল। এর পাশাপাশি দৈনিক সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড তো রয়েইছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৯২ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। একদিনে দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে। উদ্বেগজনক বিষয় হল, দেশের দৈনিক এবং সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট দুটোই হু হু করে বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। বর্তমানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৬৬ হাজার ১৭০। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ২৯।

এদিকে এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ বাড়ল। ১৩ ও ১৪ এপ্রিল রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৬৬ ও ৯২। মঙ্গল ও বুধবারে সেই সংখ্যাটাই হয়েছে যথাক্রমে ১৮০ ও ১৬২। সেই সঙ্গেই করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাটা হাজার ছুঁইছুঁই (৯৮১) হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জন ভর্তি হাসপাতালে। এই চিত্র থেকেই স্পষ্ট ক্রমশ সংক্রমণ বাড়ছে।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখন যাঁদের করোনা ধরা পড়ছে, তাঁদের মূলত জ্বর, সর্দি, শুকনো কাশি, গলা ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং বেশ কিছু রোগীর ডায়েরিয়ার সমস্যা থাকছে। এর মধ্যে ১% রোগীরও উপসর্গ গুরুতর আকার ধারণ করছে না। ফলে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হাজার ছুঁইছুঁই হলেও হাসপাতালে ভর্তি মাত্র ৪০ জন। তাঁদেরই হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে, যাঁদের অন্য কোনও গুরুতর কো-মর্বিডিটি রয়েছে। তাঁরা অসুস্থও হচ্ছেন মূলত সেই কো-মর্বিডিটির জন্যই। ফলে শ্বাকষ্টের সমস্যা তাঁদের কমই।