দিল্লি, ২১ এপ্রিল– আমজনতার স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নয়। অর্থনৈতিক কারণেই তেল ছেড়ে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিতে চলেছে মোদি সরকার।
আসলে কেন্দ্রের ঘি ব্যবহারে উত্সাহ দানের পেছনের কারণটা হল বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমানো। কেন্দ্র সরকার চাইছে প্রতিবছর তেল আমদানি করতে যে বিরাট অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা ভারতকে খরচ করতে হয়, সেটা বন্ধ করতে। শুধু তাই নয়, বিগত কয়েক বছরে দেশে দুগ্ধ উৎপাদনও বেড়েছে। তুলনায় দুগ্ধজাত শিল্পে বিশেষ উন্নতি নেই। দুগ্ধজাত শিল্প বলতে শুধু গুঁড়ো দুধ, মাখনের মতো গুটিকয়েক বিকল্প রয়েছে। আরও মুশকিল হয়, এই দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্যগুলির বিদেশেও তেমন চাহিদা নেই। কেন্দ্র চাইছে দেশজুড়ে ঘিয়ের ব্যবহার বাড়ুক। সেটা হলে দুগ্ধজাত শিল্পের বাজার বদলে যাবে।
আসলে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত সরকার বছরে ৭০০ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। সেই লক্ষ্য দুগ্ধ উৎপাদনকারী পশুর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে প্রত্যেক ভারতীয়র মাথাপিছু দিনে ৪৪৪ মিলিলিটার দুধ উৎপাদন হয় ভারতে। ২০৪৭ সাল পর্যন্ত সেটাকে মাথাপিছু ১লিটার করার টার্গেট নিয়েছে মোদি সরকার। সমস্যা হল, দুধের উৎপাদন বাড়লেও চাহিদা বাড়েনি। আবার রপ্তানিও সে অর্থে নেই। ফলে যে বাড়তি দুধ থেকে যাচ্ছে, সেটাকে হয় মাখন, নাহয় মিল্ক পাউডারে পরিণত করতে হচ্ছে।
সরকার চাইছে আমজনতার মধ্যে ঘি-কে আরও জনপ্রিয় করতে তাতে দু’দিক থেকে অর্থনীতির ফায়দা। এক, সয়াবিন তেল বা পাম তেল আমদানির খরচ কমবে। দুই, ঘি উৎপাদনের ফলে দেশের দুগ্ধজাত শিল্পের উন্নতি হবে।