দিল্লি – ২১ এপ্রিল – সমকামিতার সম্পর্ক সম্পর্ক কেবল শারীরিক নয়, তা মানসিক সম্পর্কও। তৈরি হয় স্থায়ী সম্পর্ক। বৃহস্পতিবার সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত মামলায় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন ,বিবাহের জন্য একজন পুরুষ ও একজন মহিলাই অপরিহার্য কেন ? এদিন সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে মামলার তৃতীয় দিনের শুনানি ছিল।
সমলিঙ্গ বিবাহ ভারতের নৈতিকতার পরিপন্থী। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সমকামী সম্পর্ক শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদার উপর নির্ভরশীল নয়। প্রধান বিচারপতির কথায়, ”বিবাহের প্রচলিত ধারণার নতুন সংজ্ঞা দরকার। কোনও বিবাহে পুরুষ ও মহিলাই কি দরকার?” প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, ১৯৫৪ সালের বিশেষ বিবাহ আইন লাগু হওয়ার পর গত ৬৯ বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, ”যখন কোনও দম্পতি গার্হস্থ্য সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তখন তাঁদের সন্তানদের মধ্যে কী প্রভাব পড়ে? ” ৩৭৭ ধারার প্রসঙ্গও তোলে বেঞ্চ। ২০১৮-র ৬ সেপ্টেম্বর, ভারতীয় সংবিধান ৩৭৭ ধারাকে প্রত্যাহার করে সমকামিতাকে ‘অপরাধ’-এর আওতামুক্ত করেছে।
উল্লেখ্য, সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত মামলা চলছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এস কে কাউল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার ছিল শুনানির তৃতীয় দিন। প্রাথমিকভাবে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্র। আগেই কেন্দ্রের সেই আপত্তি খারিজ করে দেয় বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের রায়ে সমলিঙ্গে বিবাহকে সমর্থন করা হয় বলেই আইনজীবীদের একাংশের অনুমান।