চন্ডীগড় , ২০ এপ্রিল – অমৃতসর বিমানবন্দরে পাঞ্জাব পুলিশের হাতে খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের স্ত্রী কিরণদীপ কৌর। পুলিশ সূত্রে খবর, লন্ডনের বিমান ধরার জন্য বিমানবন্দরে আসেন কিরণদীপ । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমান ধরার আগেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর মেলে , বিমানবন্দরের মধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এদিকে এখনও অধরা অমৃতপাল সিং। মাঝে মধ্যে হরিয়ানা, পাঞ্জাব বা দিল্লির মতো শহরে সিসিটিভি ক্যামেরায় তাঁর ছবি দেখা গেছে। অমৃতপালের কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার অমৃতপালের স্ত্রীকে অমৃতসর বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, তিনি লন্ডনে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপের লন্ডনের বিমানে ওঠার কথা ছিল । তার আগেই বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকায়। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, কিরণদীপ ব্রিটিশ নাগরিক, সেখানকার পাসপোর্টও তাঁর রয়েছে। জানা গেছে কিরণদীপের বিরুদ্ধে ভারতে কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। তিনি যে বাব্বর খালসা ইন্টারন্যশনালের সক্রিয় সদস্য তারও কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে তদন্তকারীদের সন্দেহ, অমৃতপালের সংগঠন ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’-কে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন কিরণদীপ এবং বব্বর খালসা সংগঠন। ইতিমধ্যেই কিরণদীপের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ব্রিটিশ সরকার যে সব সংগঠনকে জঙ্গি সংগঠন বলে চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে বব্বর খালসারও নাম রয়েছে।
গত মার্চ মাসেই কিরণদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। অমৃতপাল বা তাঁর সংগঠনকে কোনওভাবে বিদেশ থেকে টাকা দিয়ে সাহায্য করা হয় কিনা, সেটাই জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। দিন কয়েক আগেই অমৃতপালের এক ঘনিষ্ঠ সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানে নেমে ১০ এপ্রিল অমৃতপালের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী পপ্পলপ্রীত সিংহকে গ্রেফতার করেছিল পঞ্জাব পুলিশ। কিছু দিন পরে অমৃতপালের দুই আশ্রয়দাতা রাজদীপ সিংহ এবং সর্বজিৎ সিংহকেও গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু অমৃতপালের হদিশ পায়নি পাঞ্জাব প্রশাসন।