বেঙ্গালুরু , ১৭ এপ্রিল – কংগ্রেসেই যোগ দিলেন কর্নাটক বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ সেত্তার । সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধারামাইয়া ,ডিকে শিবকুমার সহ কর্নাটক কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা । আগামী মে মাসেই কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি ছেড়ে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির। সেত্তারকে নিয়ে রাজ্য বিজেপির তিনজন শীর্ষ নেতা পদ্ম শিবির ছেড়ে কংগ্রেস শিবিরে যোগ দিলেন ।
রবিবার রাতেই প্রকাশ্যে দল বদলের ইচ্ছা প্রকাশ করেন জগদীশ সেত্তার। এরপর তাঁকে প্রথম ফোন করেন খাড়্গে। কংগ্রেস সভাপতি নিজের রাজ্যে তাঁকে স্বাগত জানাতে বেঙ্গালুরুর অনুষ্ঠানে হাজির হন। উপস্থিত ছিলেন দুই সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এবং রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও। ছিলেন কর্নাটক কংগ্রেসের দুই মাথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। কর্নাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমার বলেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক নিঃশর্তে কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছেন। আমি সকলকে স্বাগত জানাই ।”
বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেয়েই দলত্যাগ করেন এই বিজেপি নেতা। প্রকাশ্যে তাকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও বিজেপির বহু নেতাই একে নির্বাচনের মুখে দলের বড় ক্ষতি বলে মনে করেন। ৬৭ বছর বয়সি এই নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানীদের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। সাতবারের বিধায়ক ছাড়াও বিধানসভার স্পিকার, বিরোধী দলনেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেত্তার । দ্বিতীয়ত, তিনি প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব । তাঁর দলবদলের রেশ লিঙ্গায়েত ভোটের উপর পড়বে, আশঙ্কা বিজেপি নেতাদের। যদিও প্রকাশ্যে কেউই এই ব্যাপারে কোন মতামত জানাননি ।
গত শনিবার বিজেপির এক প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসে যোগ দেন। আর এক প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কেএস ইশ্বরাপ্পা টিকিট না পেয়ে ইতিমধ্যেই রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৪০টি আসনে প্রার্থী নিয়ে চাপান উতোর চলছে গেরুয়া শিবিরে।