লখনউ , ১৩ এপ্রিল – পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গেল উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আসাদ আহমেদ ও তার সঙ্গী গুলামের . উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ। পুলিশ বেশ কয়েকদিন ধরেই তাকে খুঁজছিল তাঁকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার ঝাঁসিতে তার খোঁজ পাওয়া যায় । পুলিশ সেখানে পৌঁছতেই পাল্টা গুলি ছুড়তে শুরু করেন আসাদ ও তাঁর বন্ধু। পালানোর চেষ্টা করতেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন ২ জন। প্রয়াগরাজে উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিলেন আসাদ এবং গুলাম। পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’ অপরাধীর তালিকায় ছিলেন এই দু’জন। পুলিশ এই অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে ৫ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় আসাদদের আস্তানায়। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ যায় আসাদ ও তাঁর সঙ্গীর। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের এসটিএফের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় আসাদ এবং গুলামের। সেই সংঘর্ষেই মৃত্যু হয়েছে দুই অভিযুক্তের। তাঁদের কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, নতুন মোবাইল ফোন এবং সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। আসাদ এবং গুলামকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছিল পুলিশ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন বিধায়ক রাজু পালের একমাত্র সাক্ষী উমেশ পাল। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় উমেশের দুই নিরাপত্তারক্ষীরও মৃত্যু হয়। উমেশ খুনে অভিযোগ ওঠে আতিক, তার ভাই আশরফ, পুত্র আসাদ, গুলাম-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। উমেশ হত্যাকাণ্ডের পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা উত্তরপ্রদেশে। এই ঘটনায় আগেই পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’ মৃত্যু হয়েছিল দুই অভিযুক্তের। গ্রেফতারও হয়েছে কয়েক জন।উমেশ পাল অপহরণের মামলায় সম্প্রতি আতিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে প্রয়াগরাজের এমপি-এমএলএ আদালত। তার বিরুদ্ধে একশোটিরও বেশি মামলা ঝুলছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রাজু পাল খুনের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন উমেশ। ২০০৬ সালে এই উমেশকেই অপহরণ করা হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন আতিক।গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নিজের বাড়ির সামনেই খুন হন উমেশ। গুলিবিদ্ধ হন তাঁর দুই দেহরক্ষীও। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁদের। উমেশ হত্যাকাণ্ডে পুলিশ এর আগেও বেশ কয়েকজন গ্রেফতার করেছে।