• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দন্ডি কেটে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান –   চার আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে ফেরানোর ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি

বালুরঘাট , ৮ এপ্রিল  – চার আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে ফেরানোর ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। শুক্রবার রাতে বালুরঘাটের তৃণমূল পার্টি অফিসে দন্ডি কেটে দলে ফেরানো হয় চার মহিলাকে।  তাদের অপরাধ, বিজেপি ছেড়ে তারা তৃণমূলে যোগ দেয়। এই ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। বালুরঘাটের ঘটনায় এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি । অভিযোগ, এলাকার

বালুরঘাট , ৮ এপ্রিল  – চার আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে ফেরানোর ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। শুক্রবার রাতে বালুরঘাটের তৃণমূল পার্টি অফিসে দন্ডি কেটে দলে ফেরানো হয় চার মহিলাকে।  তাদের অপরাধ, বিজেপি ছেড়ে তারা তৃণমূলে যোগ দেয়। এই ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

বালুরঘাটের ঘটনায় এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি । অভিযোগ, এলাকার চার মহিলা বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপরই শুক্রবার সন্ধ্যায় দেখা যায় তাঁরা রাস্তায় দণ্ডি কাটছেন। প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা দণ্ডি কাটার পর যোগ দেন তৃণমূলে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপিতে যোগদানের জন্য এই শাস্তি দেয় তৃণমূল । যাঁরা এই দণ্ডি কাটেন, তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ভুল করে বিজেপিতে  যান, তাই দণ্ডি কেটে ভুল সংশোধন করেছেন। তবে এই ঘটনাকে ভালভাবে নেয়নি রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বালুরঘাটে দণ্ডি বিতর্কে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা দল খতিয়ে দেখা হবে । একইসঙ্গে তৃণমূলের তরফে তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এমন ঘটনার।

শুক্রবার রাতে দণ্ডি কেটে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে পৌঁছন তিন মহিলা। এরপরই তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মহিলা তৃণমূল জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। প্রদীপ্তা বলেন, “তপনের ১১ নম্বর গোফানগর অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপি পতাকা তুলে দিয়েছিল। সেই মহিলারাই ভুল বুঝতে পেরে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কাটতে কাটতে জেলা পার্টি অফিসে এসেছেন।” যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, “দলীয় নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে এটা করা হয়েছে। এই ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয় ।”

চার মহিলা মার্টিনা কিস্কু, শিউলি মার্ডি, ঠাকরণ সরেন ও মালতি মুর্মু। শুক্রবার এই চারজনই বালুরঘাট শহরের কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কাটতে কাটতে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে আসেন। সেখানেই তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেন।

এই ঘটনার সমালোচনা করে শুক্রবার রাতেই টুইট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেন, “জোর করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে নিয়ে গিয়েছে। আদিবাসী মহিলাদের যেভাবে অপমান করা হল, তা সম্পূর্ণ আদিবাসী সমাজের অপমান। তৃণমূল আদিবাসী বিরোধী।” রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও এর তীব্র নিন্দা করে বলেন, “বিজেপিতে গিয়েছেন, পরে দণ্ডি কেটে ফিরে এসেছেন, এটা আমি কখনওই সমর্থন করি না। কেউ ভুল করলে, প্রায়শ্চিত্ত করতে দলে ফিরে আসতে চাইলে, স্বাগত জানাব। কিন্তু ১ কিলোমিটার দণ্ডি কেটে এটা কখনই সমর্থন করি না।”