• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কলকাতার রাজপথে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস , হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন

কলকাতা, ৬ এপ্রিল – হনুমান জয়ন্তীর দিন কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায়  ঘুরে দেখলেন  রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যপালের কনভয় প্রথমে যায় লেকটাউনের হনুমান মন্দিরে। সেখানে পুজো দেওয়ার পর শহরের আরেক  প্রান্তে একবালপুর, পোস্তা এলাকায় চলে যান তিনি । পুলিশ আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাক্যালাপ করেন  রাজ্যপাল ।  পোস্তায় একটি

কলকাতা, ৬ এপ্রিল – হনুমান জয়ন্তীর দিন কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায়  ঘুরে দেখলেন  রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যপালের কনভয় প্রথমে যায় লেকটাউনের হনুমান মন্দিরে। সেখানে পুজো দেওয়ার পর শহরের আরেক  প্রান্তে একবালপুর, পোস্তা এলাকায় চলে যান তিনি । পুলিশ আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাক্যালাপ করেন  রাজ্যপাল ।  পোস্তায় একটি শরবতের দোকানে দাঁড়িয়ে চুমুক দেন ছাতুর শরবতে।

রামনবমীতে অশান্তির ঘটনার পর হনুমান জয়ন্তীতে যাতে কোনও রকম অশান্তির ঘটনা  না ঘটে, সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। রাজ্য পুলিশ ছাড়াও রাস্তায় টহল দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পথে নামেন রাজ্যপালও। লেকটাউনে এবং একবালপুর এলাকার  সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বার্তা বলেন। রাস্তার ধারে দোকানদারদের দিকেও এগিয়ে যান তিনি। তাদের ব্যবসা কেমন চলছে সেসব    জিজ্ঞাসা করেন।  রাজ্যপাল বোস সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘আর কোনও গোলমাল হবে না। মানুষ খুবই সহযোগিতা করছেন। আমার বিশ্বাস, আজ বাংলা গোটা দেশে শান্তি এবং সম্প্রীতির বিশেষ দৃষ্টান্ত তৈরি করবে ।’’
একবালপুর হয়ে রাজভবনের কনভয় রওনা হয় পোস্তার দিকে। সেখানে গিয়েও একইভাবে রাজ্যপাল প্রথমেই পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেন। জেনে নেন, এলাকার পরিস্থিতি কেমন। তার পর এগিয়ে যান রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনতার দিকে। বেশ কয়েকটি দোকানেও ঢুঁ মারেন। একটি শরবতের দোকানে গিয়ে জানতে চান, কী ভাবে তৈরি হচ্ছে পানীয়। দোকানদারকে বলেন, তাঁকেও এক গ্লাস ছাতুর শরবত খাওয়াতে। দোকানদার রাজ্যপালের সামনেই ছাতু গুলে শরবত তৈরি করে দেন। সেই গ্লাসে চুমুক দেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। পয়সা মেটান নিজের পকেট থেকেই। কথা বলেন এলাকার ছোট ব্যবসায়ীদের কয়েক জনের সঙ্গে। তাঁদের শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন করেন। বলেন, যে কোনও সমস্যা হলে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে। সেই সময় রাজ্যপালের পাশেই ছিলেন রাজ্য পুলিশের কয়েকজন কর্তা। এরপর  রাজ্যপাল কলাকার স্ট্রিটের চার চকের হনুমান মন্দিরে প্রবেশ করেন। সেখানেও তিনি পুজো দেন । মন্দিরের লোকজনের সঙ্গে নিজস্বীও তোলেন। এইভাবেই মানুষের মনে আস্থা গড়ে তোলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
হনুমান জয়ন্তীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলার তিনটি এলাকায় ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নবান্ন। সেই মতো, হাওড়া হুগলি ও ব্যারাকপুরে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয়বাহিনী। বুধবার রাতে চুঁচুড়া, কামারহাটি এলাকায় রুট মার্চ করে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী।