• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নয়া আইনে বিপর্যস্ত রাজস্থানের চিকিতসা ব্যবস্থা, বন্ধ হাসপাতাল-নার্সিং হোম, ধর্মঘটে চিকিতসকেরা

জয়পুর, ৩০ মার্চ– রাজস্থান বিধানসভায় সদ্য পাশ হওয়া এক আইন নিয়ে উত্তাল রাজস্থান। যার জেরে ভেঙে  পড়েছে রাজস্থানের চিকিতসা ব্যবস্থা। রাজ্যের লক্ষাধিক চিকিতসক ধর্মঘট শুরু করেছেন। পরিস্থিতির চাপে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোম। বন্ধ সরকারি হাসপাতালের বহু ওয়ার্ড। স্থগিত রাখা হয়েছে রোগী ভর্তি। চরম বিপদের মুখে পড়েছেন আচমকা অসুস্থ এবং দুর্ঘটনার কবলে

জয়পুর, ৩০ মার্চ– রাজস্থান বিধানসভায় সদ্য পাশ হওয়া এক আইন নিয়ে উত্তাল রাজস্থান। যার জেরে ভেঙে  পড়েছে রাজস্থানের চিকিতসা ব্যবস্থা। রাজ্যের লক্ষাধিক চিকিতসক ধর্মঘট শুরু করেছেন। পরিস্থিতির চাপে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোম। বন্ধ সরকারি হাসপাতালের বহু ওয়ার্ড। স্থগিত রাখা হয়েছে রোগী ভর্তি। চরম বিপদের মুখে পড়েছেন আচমকা অসুস্থ এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়া মানুষ। ধর্মঘটে শামিল হয়েছে বহু বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোমও। রাজ্য সরকার চিকিতসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে বলছে। তাতে সাড়া মেলেনি। উল্টে ধর্মঘটের সমর্থনে প্রাইভেট চেম্বারও বন্ধ করে দিয়েছেন বহু চিকিত সক।  

চলতি অচলাবস্থার কারণ রাজস্থান বিধানসভায় সদ্য পাশ হওয়া একটি আইন। স্বাস্থ্যের অধিকার নামে ওই আইনে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি ইমার্জেন্সিতে চিকিতসার জন্য গেলেও ফ্রি চিকিতসা পাবেন। বেসরকারি চিকিতসা প্রতিষ্ঠান হলে সরকার তাদের বিল পরে মিটিয়ে দেবে। কিন্তু কাউকে চিকিত সা না দিয়ে ফেরানো যাবে না।

রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার অনেক আগেই চিরঞ্জীবী নামে একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু করেছে। তাতে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিতসার খরচ সরকার মেটায় সরকার। কিন্তু ওই প্রকল্পে ইমার্জেন্সি চিকিতসা নিখরচায় পাওয়ার সুযোগ নেই। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি ছিল স্বাস্থ্যের অধিকার আইন। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে আগামী নভেম্বরের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করতে চায় কংগ্রেসের অশোক গেহলট সরকার।

কিন্তু চিকিতসক ও বেসরকারি নার্সিং হোম এবং হাসপাতাল মালিকদের বক্তব্য, সরকার নিজের বোঝা অন্যদের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। সরকারি হাসপাতালের বেহাল দশার কারণেই সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর চিকিতসার বোঝা চাপাচ্ছে। চিরঞ্জীবী প্রকল্পে টাকা পেতেও দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির অভিযোগ।

গত ২১ মার্চ পাশ হওয়া আইনটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন ক্রমে তীব্র হচ্ছে। সরকার খানিক পিছু হটে বিধানসভার একটি কমিটিকেই আইনটি পর্যালোচনা করতে বলেছে। তবে আন্দোলন তাতে থামেনি।