• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

১৮টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের 

দিল্লি,  ২৮ মার্চ – ১৮টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে ২৬টি সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি হয়েছে। ভারত থেকে জাল এবং নিম্ন মানের মানের ওষুধ বিদেশে বিক্রি হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এর মধ্যেই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।   এদিকে  ১ এপ্রিল থেকে হৃদরোগের ওষুধ,  অ্যান্টিবায়োটিক সহ ৮০০ রকম ওষুধের দাম বাড়তে

দিল্লি,  ২৮ মার্চ – ১৮টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে ২৬টি সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি হয়েছে। ভারত থেকে জাল এবং নিম্ন মানের মানের ওষুধ বিদেশে বিক্রি হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এর মধ্যেই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।   এদিকে  ১ এপ্রিল থেকে হৃদরোগের ওষুধ,  অ্যান্টিবায়োটিক সহ ৮০০ রকম ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে বলে জানা গেছে । গড়ে ১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে ওষুধের দাম।

গত কয়েক মাস ধরে উজবেকিস্তান,  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উজবেকিস্তান ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অভিযোগ দায়ের হয়ে আসছিল ভারতীয় ওষুধ রফতানিকারকদের বিরুদ্ধে । এরপরই এই বিষয়ে তদন্তে নামে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। ১৫ দিন ধরে ২০টি রাজ্যের ২০৩টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা পরিদর্শন করা হয়। তারপর এই কঠোর পদক্ষেপ। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে  গুজরাট , দিল্লি, গোয়া, হরিয়ানা, বিহার,হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক সূত্র জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৭৬টি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । এর মধ্যে ১৮টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। তিনটি সংস্থার পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া  ২৬টি সংস্থাকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতবছর ডিসেম্বরে, উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে এক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল। ওই  সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল উজবেকিস্তানের ১৮ শিশুর। তারপর থেকেই কেন্দ্রের নজরে ছিল সংস্থাটি। সম্প্রতি, তাদের ২২টি ওষুধের গুণমান ঠিক নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। ওই ফার্মের তিন কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
 প্রসঙ্গত ফেব্রুয়ারিতে, চেন্নাইয়ের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাকে চোখের ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করতে হয়। মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিল,  ওই ড্রপ ব্যবহার করে একজনের মৃত্যুও হয়। জাল ওষুধ ধরা পড়ায় ভারতের সুনাম নষ্ট হতে বসেছে। এই অবস্থায় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার।