মার্চ মাসে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার( জিডিপি ) কমে দাঁড়াল ৫.৮ শতাংশে।অর্থনীতির এই শ্লথ গতির পরিপ্রেক্ষিতে অনুমান করা হচ্ছে জুন মাসের আর্থিক নীতির সমীক্ষায় এই হার আরও কমিয়ে দিতে পারে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক(আরবিআই)। শুক্রবার ভারত সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমেছে বলে জানানাে হয়েছে।এই হার ৫.৮ শতাংশ।এর ফলে গত দেড় বছরে এই প্রথম আর্থিক উন্নয়নের মানদণ্ডে চিন থেকে পিছিয়ে পড়ল ভারত। চিনের মার্চ মাসে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার দেখানাে হয়েছে ৬.৮ শতাংশ।মার্চ ৩১শে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে ভারতে যে বৃদ্ধির হারের অঙ্ক কষেছিলেন অর্থনীতিবিদরা তার থেকে অনেক বেশি খারাপ দেশের আর্থিক বৃদ্ধির অবস্থা।
সীতারমণকে অর্থসচিব সুভাষচন্দ্র গাৰ্গ এদিন জানিয়েছেন দেশে চাহিদা সেভাবে বাড়ছে না এবং বেসরকারি বিনিয়ােগও সেভাবে আসেনি,যার ফলে মার খেয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির হার। এর আগে উক্ত সময়ে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কষেছিলেন ৭.০ শতাংশ।
বিগত আর্থিক বছরের শুরুতে সিএসও (সেন্ট্রাল স্ট্যাটিসটিক অফিস ) ২০১৮-১৯ সালের জন্য বৃদ্ধির হার হবে ৭.২ শতাংশ বলে দাবি করেছিলেন।অর্থনীতির এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নির্মলা সীতারমণকে।
অপরদিকে,নরেন্দ্র মােদির দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান-মন্ত্রক স্বীকার করে নিয়েছে যে,সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত দেশে বেকারির হার নিয়ে যে পরিসংখ্যান ফাঁস হয়েছিল, সেটা সঠিক।গত জানুয়ারি মাসে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে দেশে বেকারির হার ছিল ৬.১ শতাংশ অর্থাৎ ১৯৭২-৭৩ সালের পর দেশে বেকারির হার সর্বনিম্ন।এই নিয়ে চিন্তা এবং আশঙ্কার পরও দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী বিশাল নির্বাচনী জয় পেয়ে পুনরায় ক্ষমতায় এসেছেন।
গত জানুয়ারি মাসে দেশে বেকারির হার ১৯৭২-৭৩ সালের পর সর্বনিম্ন বলে সংবাদমাধ্যমে সরকারি পরিসংখ্যান ফাঁস হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সরকার তখন বেকারির কোনও পরিসংখ্যান সরকারিভাবে জানাতে অসম্মত হয়।সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল তার ভিত্তি ছিল ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিসের সমীক্ষার তথ্য এবং সেই সমীক্ষা চালানাে হয়েছিল ২০১৭ সালের জুলাই এবং ২০১৮ সালের জুন মাসের মধ্যে।এই পরিসংখ্যানের পাশাপাশি শুক্রবার ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়ে যে পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে, তাও নিরাশাজনক।সেই তথ্যে বলা হয়েছে , গত জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে ভারতের আর্থিক ৫.৮ শতাংশে নেমে এসেছে , যা ১৭টি ত্রৈমাসিকের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিগত প্রায় দু’বছরে আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে এই প্রথম ভারতকে টপকে গেল পড়শি দেশ চিন।