দিল্লি, ২৫ মার্চ — মোদি নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। খারিজ হয়েছে সাংসদ পদও। কিন্তু এতো সত্বেও দমাতে রাজি নন রাহুল গান্ধি। লন্ডনে তাঁর বক্তৃতা ঘিরে সুরাত আদালতের বিচারক রাহুলকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কি আপনার মন্তব্যের জন্য অনুতপ্ত? দুঃখপ্রকাশ করবেন? এজলাসে দাঁড়িয়ে রাহুলের স্পষ্ট জবাব ছিল, ‘প্রশ্নই ওঠে না!’
সেই রাহুলকে দু’বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তারপর তাতে স্থগিতাদেশ দিয়ে জামিন দিলেও রাহুলের সাংসদ পদটি খারিজ হয়ে গিয়েছে শুক্রবার। তারপর শনিবার রাহুল গান্ধি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই একটি প্রশ্নের জবাবে যে জবাব দিলেন রাহুল তা শুধু বিজেপির দিকে নয়। বরং বলা ভাল নিশানা ছিল নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সদর দফতর।এদিন রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, অনেকেই বলছেন, আপনি কেন ক্ষমা চাইছেন না? আপনি কি ক্ষমা চাইবেন না? জবাবে রাহুল বলেন, ‘আমার নাম তো সাভারকার নয়। আমার নাম গান্ধি । আর গান্ধিরা কখনও ক্ষমা চায় না।’
সঙ্ঘ বিরোধীদের অনেকে সাভারকার নিয়ে মাঝেমাঝেই খোঁচা দিতে গিয়ে বলেন, ‘যাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে কোনও ভূমিকা ছিল না তারা আজকে দেশপ্রেমের পাঠ দিতে এসেছে। যে সাভারকার ব্রিটিশদের কাছে মুচলেকা দিয়ে, ক্ষমা চেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তাঁকেই বীর আখ্যা দেয়। এদের আবার বড় বড় কথা।’
অনেকের মতে, ইঙ্গিতে এদিন সে কথাই বোঝাতে চেয়েছেন রাহুল গান্ধি । সেইসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি তো বলেছিলাম, সংসদে আমায় একটা বার বলতে দিন। দু’বার চিঠি লিখেছি। হয়নি। নিজে গিয়ে স্পিকারকে বলেছি, আপনি গণতন্ত্রের রক্ষক। আপনি বলতে দিন। তিনি বলেছেন পারবেন না। আমি কি নরেন্দ্র মোদির কাছে গিয়ে বলব নাকি?’
এখন দেখার রাহুলের এই সাভারকার মন্তব্য কি চেহারা ধারণ করে। কারণ বিজেপি কোমর বেঁধে তৈরী আছে রাহুলের প্রতিটি বাক্যে শান দিতে।