দিল্লি, ২২ মার্চ — আধার-ভোটার কার্ড সংযোগ বিষয়ে আপাতত স্বস্তি। আরও এক বছর সময় পাওয়া গেল আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ডকে যুক্ত করার জন্য। আগে ঠিক ছিল আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই কাজ করা যাবে। এখন কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে সুযোগ মিলবে ২০২৪-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত। গত বছর থেকে আধার নম্বরের সঙ্গে ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বরকে যুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে দেশে।
নির্বাচন কমিশন মনে করছে, ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করার কাজে এই সংযোগে বাড়তি সুবিধা হবে। একজন নাগরিকের দুটি পৃথক বিধানসভা বা একই বিধানসভা এলাকায় দুটি আলাদা বুথে নাম আছে কি না আধার সংযোগের ফলে সহজে তা চিহ্নিত করে ফেলা যাবে কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করে। এই সংযোগের আগেও এই ভাবে ভুয়ো নাম বাদ দিত কমিশন। সংযোগের পর তা প্রায় একশো শতাংশ সম্পন্ন হবে বলে কমিশনের ধারণা।
এই সংযোগে নাগরিকরাও যে বিশেষ সুবিধা পাবে তা হল কোনও মামলা মোকদ্দমা, সম্পত্তি বিবাদ ইত্যাদিতে নাম-পরিচয় নিয়ে জটিলতা দূর করতে সহায়তা করবে এই সংযোগ।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, নাগরিকেরা নিজেরাই এই সংযোগের কাজটি ঘরে বসে করে নিতে পারেন। এ জন্য প্রথমে ন্যাশনাল ভোটারস সার্ভিস পোর্টাল খুলতে হবে। তাতে লগ-ইন করার পর ভোটার তালিকায় যেতে হবে। সেখানে গিয়ে নিজের নামের জায়গায় আধার কার্ডের নম্বর যোগ করতে হবে। সংযোগের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর বা ই-মেলে ওটিপি আসবে।
এছাড়া, স্থানীয় বুথে নির্বাচন কমিশন মাঝেমধ্যে শিবির চালু করে। ভোটাররা সেখানে গিয়েও হাতে হাতে সংযোগ সেরে নিতে পারেন। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই সংযোগ বাধ্যতামূলক নয়। সংযোগ না করালে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড অচল হয়ে যাবে না। ভোটদানেও কোনও সমস্যা হবে না ভোটারের।