অসমের মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলে দিচ্ছেন, তিনি চান সব মাদ্রাসা বন্ধ করে সেখানে স্কুল-কলেজের মতো ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোক। কারণ, মাদ্রাসায় তৈরি হয় মোল্লা। আর ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয় ডাক্তার, দার্শনিক। হিমন্তর স্পষ্ট কথা, বাংলাদেশ থেকে বহু অনুপ্রবেশকারী এসে অসমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। ওদের আটকাতে চাই। আমি চাই সব মাদ্রাসা বন্ধ হোক। আমি চাই স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় হোক।”
উল্লেখ্য, হিমন্তর নির্দেশে অসমে ছ’শোর বেশি সরকারি মাদ্রাসা বন্ধ হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তর বিতর্কও। সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে বলে বিরোধীদের একাংশ সরব হয়েছে। কিন্তু অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গাইলেন। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন আগামী দিনে কর্ণাটকেও বিজেপি একই পথে হাঁটবে। হিমন্তের কথায়,”এই দেশে অনেকেই আছেন যারা নিজেদের গর্বিত মুসলিম বা গর্বিত খ্রিস্টান বলে দাবি করেন। তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমি চাই এই দেশে এমন মানুষ হোক যারা নিজেদের গর্বিত হিন্দু বলে পরিচয় দেবে।”
কর্ণাটকে মে-জুন মাসে ভোট। দক্ষিণের এই রাজ্যটিতে বিজেপি সরকার দুর্নীতির অভিযোগে জীর্ণ। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদলে ফেলেছে বিজেপি । তারপরও কমেনি দুর্নীতির অভিযোগ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিস্তার পেতে শেষবেলায় চেনা হিন্দুত্ব লাইনে খেলতে চাইছে বিজেপি। আর সেই কাজে এবার তাঁদের ট্রাম্প কার্ড হিসাবে উঠে এসেছেন হিমন্ত। লাগাতার কর্ণাটকের বিভিন্ন জনসভায় ‘হিন্দুত্ব’কে ইস্যু করছেন হিমন্ত।