দিল্লি, ১৬ মার্চ– মদকাণ্ডে আগেই সিবিআই এবং ইডি হেফাজতে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। চলছে লাগাতার জেরা। কিন্তু এর মধ্যেই ফের নয়া বিতর্কে তিনি। মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার নতুন এক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করল সিবিআই ।
জানা গিয়েছে, এবার মণীশের বিরুদ্ধে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ এনেছে সিবিআই।মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে আগেই কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নতুন মামলা করতে সবুজ সংকেত দিয়েছিল।
দিল্লির আপ সরকার ২০১৬ সালে একটি ফিডব্যাক ইউনিট চালু করেছিল। এই ইউনিটের কাজ ছিল সরকারের কাজকর্ম সম্পর্কে জনসাধারণের মতামত সংগ্রহ করা। নাগরিকেরা সরাসরি এখানে ফোন করে তাদের সমস্যা, পরামর্শ জানাতে পারতেন। একই সঙ্গে ওই ইউনিট থেকেও জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। জানা যায় সেখানেই বসানো হয়েছিল ফোনে আড়িপাতার যন্ত্র। দিল্লি সরকারের তরফে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ ওই ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর নির্দেশেই আড়িপাতা হত বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ইডির কাছে গেলেন না তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে কবিতা। বৃহস্পতিবার তাঁকে তলব করেছিল ইডি। কবিতার তরফে বলা হয়েছে, তাঁর মামলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। ২৪ মার্চ শুনানি হবে। তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন ইডির কাছে যাওয়ার বিষয়ে।
যদিও ইডির তলবের উপর বুধবার সুপ্রিম কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি। ফলে ইডি এরপর কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার। কবিতাতে দিল্লির মদকাণ্ডে তদন্তের জন্য তলব করেছিল ইডি। তাঁকে আগেও এক দফা জেরা করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি। গ্রেফতারির ভয়ে কবিতা আজ ইডিকে এড়াতে পারেন, এমন সম্ভাবনা ছিলই।
অন্যদিকে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সিবিআই তাঁকে রেলে জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় তলব করেছে। দু’বার সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে গিয়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। একই মামলায় গত সপ্তাহে ইডি তাঁর দিল্লির বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ওই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তেজস্বীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা এবং সোনা মিলিয়ে বিপুল টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তারা।