• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দেড় বছরের বকেয়া মহার্ঘ্যভাতা পাবেন না কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীরা , স্পষ্ট জানাল কেন্দ্র 

দিল্লি, ১৪ মার্চ – বকেয়া এবং বর্ধিত ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যখন আন্দোলনে সোচ্চার, ঠিক তখনই ডিএ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিল মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ১৮ মাসের বকেয়া মহার্ঘভাতা অর্থাৎ ডিএ দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। করোনাকালে বকেয়া ১৮ মাসের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া হবে না বলে মঙ্গলবার সংসদে জানিয়ে দেওয়া

দিল্লি, ১৪ মার্চ – বকেয়া এবং বর্ধিত ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যখন আন্দোলনে সোচ্চার, ঠিক তখনই ডিএ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিল মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ১৮ মাসের বকেয়া মহার্ঘভাতা অর্থাৎ ডিএ দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। করোনাকালে বকেয়া ১৮ মাসের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া হবে না বলে মঙ্গলবার সংসদে জানিয়ে দেওয়া হয়।

করোনার সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৩ কিস্তির ডিএ’র টাকা আটকে দিয়েছিল কেন্দ্র। সচরাচর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৬ মাস অন্তর ডিএ’র কিস্তি পান। কিন্তু অতিমারীর সময় ২০২০ সালের জানুয়ারি, জুন এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের ডিএ’র টাকা সরকারি কর্মীরা পাননি। কেন্দ্র জানায়, কর্মীদের ডিএ বাতিল করে সেই ৩৪ হাজার ৪০২ কোটি টাকা সঞ্চয় করা হয়েছিল, যা অতিমারী রুখতে খরচ করা হয়।

সম্প্রতি সংসদে জানতে চাওয়া হয়েছিল, অতিমারীর পরে অর্থনীতি যখন আগের অবস্থায় ফিরছে, তখন কর্মীদের সেই বকেয়া ডিএ দেওয়ার ব্যাপারে সরকার কি ভাবছে? এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিল, ওই সময়ের ডিএ সরকারি কর্মীদের দেওয়া হবে না। অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানিয়েছেন, “ওই মহার্ঘ্য ভাতা বাতিলের সিদ্ধান্ত অতিমারীর পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয়েছিল, ওই মহামারী দেশের অর্থনীতিতে ঋণাত্মক প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া এই ডিএ বাবদ সঞ্চয় করা ৩৪৪০২ কোটি টাকা করোনা মোকাবিলায় এবং জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। তাই ওই ডিএ সরকারি কর্মীদের দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।”

কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী লোকসভায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের তিন কিস্তির ডিএ ফ্রিজ করে দিয়েছিল সরকার। র ফলে সরকারের ৩৪৪০২ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছিল। কিন্তু ওই টাকা মহামারী মোকাবিলায় খরচ করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে এরাজ্যের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারও এই একই যুক্তি দেখিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার মানবিক সরকার, এ রাজ্যে জনকল্যাণমূলক নানারকম কর্মসূচিমাফিক কাজ হয়। তাই কর্মীদের ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে  তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মমতার এই যুক্তি খারিজ করে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এরাজ্যের বিজেপি নেতারা। অথচ সেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারই কর্মীদের ডিএ দিতে অস্বীকার করল।