• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কেন্দ্রীয় হারে ডি এ নয়, ফের স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

 কলকাতা, ১৩ মার্চ — কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা যে তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়, ফের একবার সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর আদালতের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “রাজ্য সরকারি চাকরি করে কেন্দ্রীয় সরকারি হারে ডিএ পাওয়া যায় না।” তাঁর মতে, যে হারে বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পাচ্ছেন, তার বেশি হারে দেওয়া আর সম্ভব নয়। রাজ্যের

 কলকাতা, ১৩ মার্চ — কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা যে তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়, ফের একবার সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর আদালতের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “রাজ্য সরকারি চাকরি করে কেন্দ্রীয় সরকারি হারে ডিএ পাওয়া যায় না।” তাঁর মতে, যে হারে বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পাচ্ছেন, তার বেশি হারে দেওয়া আর সম্ভব নয়। রাজ্যের অর্থসংকট চলছে। পরিস্থিতি ভাল থাকলে না হয় ভালবেসে কিছু দেওয়া যেত। কিন্তু সেই পরিসরও রাজ্যের নেই।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার দাবি নিয়ে ২১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর এ কথা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের বেতন কাঠামোর বরাবরই ফারাক রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্কুলের মাইনে একরকম, রাজ্যের স্কুলের মাইনে আর এক রকম। তাঁর কথায়, এর পরেও আমরা কিন্তু ডিএ দিয়েছি। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সমস্ত সুপারিশ মেনে নিয়েছি।

এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে বাম জমানার সঙ্গে তুলনাও টেনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যথাসময়ে বেতন বা পেনশন পেতেন না। পনেরো দিন এক মাস সময় লেগে যেত। এখন সে পরিস্থিতি নেই। মাসের ১ তারিখে মাইনে হয়। 

মুখ্যমন্ত্রী এদিনও অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র আর্থিক অবরোধ করায় রাজ্য সংকটে রয়েছে। তিনি বলেন, একশ দিনের কাজ প্রকল্পে ৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। রাস্তার টাকা, আবাস যোজনার টাকাও কেন্দ্র দিচ্ছে না। ফলে রাজ্যকেই পেনশন, স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প, খাদ্যসাথী প্রকল্পের মতো সামাজিক সুরক্ষা খাতে খরচ বহন করতে হচ্ছে। একা একটা রাজ্য  সরকারের পক্ষে এর চেয়ে বেশি আর সম্ভব নয়।