কমিশনে দেওয়া হিসাব অনুযায়ী অজানা অর্থের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ এই অর্থের উৎস সম্পর্কে কমিশন জানতে চাইলে কার্যত নীরব থেকেছেন মোদি, শাহরা। কমিশনের জবাবে বলা হয়েছে ‘আননোন সোর্স।’ কেন্দের শাসকদলের এহেন যুক্তিতে হতবাক কমিশনের একাংশ। সেইসঙ্গে এই অস্বাভাবিক বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
সম্প্রতি, এমনটাই জানা গিয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায়। সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী গত অর্থবর্ষে বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, বিএসপির মতো সাতটি জাতীয় দল মোট ৩ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে। যদিও এর সিংহভাগ অর্থই নাকি দলের কোষাগারে জমা পড়েছে অজানা উৎস থেকে। সেই অঙ্কের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৭০ কোটি টাকা। কমিশনের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে যে হিসাব জমা দেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশ অনুদানই পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এই অঙ্কের পরিমান ১ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। শুধুমাত্র ৯১৭ কোটির টাকার উৎস কমিশনকে জানাতে পেরেছে পদ্মপক্ষ। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো বিজেপির কোষাগারে অনুদান বাবদ জমা পড়া অর্থের সিংহভাগই অজানা উৎস থেকে এসেছে বলে কমিশনকে জানিয়েছেন জেপি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষরা ।
তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস অজানা বললেও যে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি কমছে না তা স্বীকার করে নিয়েছে দলের একাংশ। চলতি বছরে এখনও ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। বিষয়টি প্রকাশ্যে আশায় বিরোধীরা ভোটের প্রচারে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করবে।