রাজকোট, ১৪ মার্চ – এক নাবালিকাকে খুনে অপরাধী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিল গুজরাটের রাজকোট আদালত। নাবালিকাকে যন্ত্রণা দিয়ে খুনের অভিযোগ জয়েশ সরভাইয়া নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে। একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ৩৪ বার ধারাল অস্ত্রের কোপ মারে ২৬ বছরের ওই যুবক। সেই মামলাতেই সোমবার দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনালেন অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক আরআর চৌধুরী। গোটা বিষয়টিকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে আখ্যা দেন তিনি।ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০০০ টাকা জরিমানা দেওয়া হয়। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনা গোটা সমাজকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সেই কারণেই এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদনের জন্য একমাস সময় দেওয়া হয়েছে দোষীকে।
ঘটনা ২০২১ সালের মার্চ মাসের। জেঠপুরের জেঠালসর গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। অভিযুক্ত যুবকও ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। অনেকদিন ধরেই নাবালিকাকে হেনস্থা করছিল ওই যুবক। ২০২১ সালের ১৬ মার্চ একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করতে তার বাড়িতে হাজির হয় জয়েশ। তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তা মেনে নিতে পারেনি জয়েশ। ক্রোধের বশে অস্ত্রের বারংবার কোপে শেষ করে দেয় কিশোরীর জীবন। মোট ৩৪ বার কোপ বসায় যুবক। তাকে বাধা দিতে এসে আহত হন কিশোরীর ভাইও। এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে বনধ্ ও প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে যায়। জয়েশের বিরুদ্ধে নাবালিকা খুনের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০০০ টাকা জরিমানা দেওয়া হয়। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনা গোটা সমাজকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সেই কারণেই এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদনের জন্য একমাস সময় দেওয়া হয়েছে দোষীকে।