• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভারতে স্ট্রোকের বলি প্রতি চার মিনিটে এক: এইমস

দিল্লি, ১০ মার্চ– স্ট্রোক নিয়ে ভয়ানক এক তথ্য জানাল দিল্লির অল ইন্ডিয়া  ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের বা এইমস। তারা জানাল ভারতে প্রতি চার মিনিটে এক জনের মৃত্যু হয় স্ট্রোকে। আচমকা স্ট্রোক বড় বিপদ ডেকে আনে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন হলেই স্ট্রোক হয়। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজনের স্ট্রোক

দিল্লি, ১০ মার্চ– স্ট্রোক নিয়ে ভয়ানক এক তথ্য জানাল দিল্লির অল ইন্ডিয়া  ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের বা এইমস। তারা জানাল ভারতে প্রতি চার মিনিটে এক জনের মৃত্যু হয় স্ট্রোকে। আচমকা স্ট্রোক বড় বিপদ ডেকে আনে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন হলেই স্ট্রোক হয়। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজনের স্ট্রোক হয়, প্রতি চার মিনিটে মৃত্যু হয় একজনের।

দিব্যি সুস্থ মানুষ। আচমকাই হাত-পা অবশ, আটকে যাচ্ছে কথা, বেঁকে যাচ্ছে মুখ। এটাই অ্যালার্মিং। তখনই বুঝতে হবে স্ট্রোক হয়েছে।

এইমসের নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. পদ্মা শ্রীবাস্তব বলছেন, ভারতে স্ট্রোকে মৃত্যুর হার ক্রমশ বাড়ছে। বছরে সংখ্যাটা ১ লাখ ৮৬ হাজারের কাছাকাছি। প্রায় দু’লাখের কাছাকাছি। ডাক্তার পদ্মা বলছেন, ফুসফুসের রোগ, ক্যানসার বাদে ভারতে মৃত্যুর অন্যতম কারণ ব্রেন স্ট্রোক।

স্ট্রোক সাধারণত দুই রকমের হয়। হেমারেজিক ও ইস্কিমিক স্ট্রোক। হেমারেজিক স্ট্রোকে ব্রেনের শিরা ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। ইস্কিমিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আগে বয়স্ক লোকেদেরই বেশি হত। এখন লাইফস্টাইলে বদল, অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে কমবয়সিরাই বেশি আক্রান্ত। এখন বয়স বাছবিচার করে স্ট্রোক  হয় না। আর সাইলেন্ট স্ট্রোক তো আরও মারাত্মক। জানান দিয়ে আসে না। তাই স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী কী করা উচিত, কোন কোন অভ্যাস ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে সেটাও মাথায় রাখতে হবে।

এইমস স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে বেশ কিছু গাইড লাইন দিয়েছে, যেমন –

১) বাড়তি কোলেস্টেরল স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

২) ওবেসিটি বা স্থূলত্ব স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় ১৯%।

৩) অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ।

৪) অতিরিক্ত স্ট্রেস, মানসিক চাপ, উদ্বেগ থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৫) পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড বেশি খেলে আচমকা স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

৬) ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা আচমকা বেড়ে গেলে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়েটে থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

৭) সিগারেট ও অতিরিক্ত মদ্যপান ব্রেন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হতে পারে।

৮) হার্টের অসুখ বা হার্টে সার্জারি হলে এবং তারপরে নিয়ম মেনে না চললে, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শরীরচর্চা না করলে সাইলেন্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।