টোকিও, ৮ মার্চ– মৃত্যু মিছিলে ভারাক্রান্ত জাপান। শুধু মৃত্যু নয় দেশে মারাত্মক আকারে কমছে জন্মহার। ২০২২ সালে দেশে জন্মের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল দ্বিগুণ। এরকম চলতে থাকলে দেশ একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা । জনসংখ্যা কমতে থাকলে ভেঙে পড়বে দেশের অর্থনীতি, তাই জন্মের হার বাড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে জাপানের প্রশাসন। জানা গিয়েছে, শিশু ও পরিবার কল্যাণের জন্য আগের তুলনায় দ্বিগুণ ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিশিদার।
জাপান প্রধানমন্ত্রীর সহযোগী মাসাকো মোরি জানিয়েছেন, “একধাক্কায় হু হু করে কমে যাচ্ছে দেশের জনসংখ্যা। এইভাবে চলতে থাকলে একদিন দেশটাই হারিয়ে যাবে। দেশের এই অবক্ষয়ের সময়ে বিপাকে পড়বেন সাধারণ নাগরিকরা। বিশেষত এই সময়ে যে শিশুরা জন্মাবে, একেবারে শূন্য পৃথিবীতে তাদের বেঁচে থাকার লড়াই চালাতে হবে।”
ইতিমধ্যেই জাপানে বৃদ্ধ নাগরিকের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম, এমন মহিলার সংখ্যাও কমে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে জনসংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা হলেও তা বাস্তবায়িত করতে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে জাপান সরকার। বর্তমানে সেদেশের জনসংখ্যা কমতে কমতে মাত্র ১২ কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে, আশঙ্কা জাপান প্রশাসনের।ইতিমধ্যেই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক কর্তারা। সেনাবাহিনী, পুলিশের মতো ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। এই পরিস্থিতি থেকে জাপানকে উদ্ধার করতে পরিবারগুলির জন্য বিশেষ প্যাকেজ শুরু করতে চলেছে জাপান সরকার। মহিলাদের কাজের ধরণ পালটানো থেকে শুরু করে শিশুদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্তানের জন্ম দেওয়ার কারণে যেন মহিলাদের কেরিয়ার ব্যাহত না হয়, সেদিকেও দৃষ্টি রাখবে সরকার। তবে এই পদক্ষেপ আদৌ কার্যকরী হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সরকারের অন্দরেই।