• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

দ্বিতীয়বার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন মানিক সাহা

আগরতলা, ৮ মার্চ – বুধবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিলেন মানিক সাহা। আগরতলায় স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা এবং বিজেপির শীর্ষস্থানীয় অন্য নেতারা। তবে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বিজেপির বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ

আগরতলা, ৮ মার্চ – বুধবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিলেন মানিক সাহা। আগরতলায় স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা এবং বিজেপির শীর্ষস্থানীয় অন্য নেতারা। তবে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বিজেপির বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ করে শপথগ্রহণ বয়কট করে সিপিএম এবং কংগ্রেস।

আগরতলার বিবেকানন্দ ময়দানে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবারই ত্রিপুরায় পৌঁছে যান মোদি এবং অমিত শাহ। তবে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করে বাম-কংগ্রেস জোট। ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি।
বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই বিপ্লব দেবকে সরিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় মানিক সাহাকে। বিজেপির হয়ে কাজ করলেও তাঁর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। ২০২০ সালে তাঁকে রাজ্য বিজেপির প্রধান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে গত বছর মে মাসে বসার পরই প্রথম উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। সেই নির্বাচন জিতে আসনটি ধরে রাখতে সক্ষম হন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ডাঃ মানিক সাহা। তারপর ২০২২ সালের মার্চ মাসে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন।

বিজেপি সূত্রে খবর, বুধবারই মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন ৮ জন বিধায়ক। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটি-র একমাত্র বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় স্থান দিতে চায় বিজেপি। বিজেপির একটি অংশের দাবি, তিপ্রা মথা প্রধান প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মার সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। ৩টি দফতরের দায়িত্ব যেতে পারে তিপ্রা মথার কাছে।
সিপিএম এবং কংগ্রেস এ বার জোট বেঁধে নির্বাচনে লড়াই করে। সিপিএম পায় ১১টি আসন। কংগ্রেস পায় ৩টি আসন। ১৩টি আসন পেয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয় তিপ্রা মথা। ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের পিছনে বিরোধী ভোট ভাগকেই দুষেছে বাম এবং কংগ্রেস শিবির।