• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

ত্রিপুরা : বামেদের পাশেই বিরোধী আসনে বসবে তিপরা মথা

আগরতলা, ৩ মার্চ — ত্রিপুরা বিধানসভায় বামেদের সঙ্গে একই সারিতে বসবে তিপরা মথা।  তবে বামেদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সমীকরণে যাবে না। ইতিমধ্যেই বামেরা বলতে শুরু করেছে, তিপরা মথা ভোট কেটে নেওয়ার জন্যই বিজেপির জয়ের পথ সুগম হয়েছে। নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে গেরুয়া শিবির। বিধানসভা ভোটের ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে, ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে আদিবাসী ভোটে বড়সড় থাবা

আগরতলা, ৩ মার্চ — ত্রিপুরা বিধানসভায় বামেদের সঙ্গে একই সারিতে বসবে তিপরা মথা।  তবে বামেদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সমীকরণে যাবে না। ইতিমধ্যেই বামেরা বলতে শুরু করেছে, তিপরা মথা ভোট কেটে নেওয়ার জন্যই বিজেপির জয়ের পথ সুগম হয়েছে। নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে গেরুয়া শিবির।

বিধানসভা ভোটের ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে, ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে আদিবাসী ভোটে বড়সড় থাবা বসিয়েছে তিপরা মথা। আদিবাসী অধ্যুষিত ২০টি আসনের মধ্যে তিপরা মথা একাই ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছে। সেই সুবাদে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে তিপরা মথা দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তাই, দলের সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনের দাবি, কারোর সাথে মিলে নয়, বিরোধী আসনে বসেই জনজাতি কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা নেবে তিপরা মথা। গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি নিয়ে বিধানসভার ভেতরে আওয়াজ তোলার জন্য জনগণ আমাদের সুযোগ দিয়েছেন। সেই সুযোগের অবশ্যই মর্যাদা দেবে তিপরা মথা। 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় আদিবাসী সংরক্ষিত  আসনে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল এবং সিপিএমের দখলে দুইটি আসন গিয়েছিল। তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে তিপরা মথা ১৩টি আসনে এবং বিজেপি ও আইপিএফটি জোট ৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। আদিবাসী আসন একটিও মেলেনি সি পি এমের।

ফলাফল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রদ্যোত বলেন, বিজেপি কিংবা সিপিএম ও কংগ্রেস, কোন রাজনৈতিক দলের সাথেই বসবে না তিপরা মথা। তবে, ইস্যু ভিত্তিক সমস্যায় সহায়তা করতে প্রস্তুত তিপরা মথা। সাথে তিনি যোগ করেন, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করতেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি। 

তাঁর দাবি, জনজাতিদের কোনভাবেই আমরা অবহেলা করতে পারিনা। বিজেপি চাইলে তিপরা মথাও জনজাতি কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা নেবে। কিন্তু, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার ও বিরোধীদের জনজাতিদের বেদনা অনুভব করতে হবে। তাঁদের সত্যিকারের সমস্যা দ্রুততা র সাথে সমাধান করতে হবে। তাঁর মতে, বিরোধীরাও জনগণের কল্যাণে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে সরকারের সহযোগিতা করেছে। অতীতে এমন বহু উদাহরণ দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে রয়েছে। যেখানে স্বর্গীয় অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে সহায়তা করেছেন। 

তাঁর কথায়, জনজাতি অংশের মানুষ তিপরা মথা-কে ঢেলে আশীর্বাদ করেছেন। গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি নিয়ে বিধানসভা ভেতরে আওয়াজ তোলার সুযোগ দিয়েছেন। তিপরা মথা অবশ্যই সেই সুযোগের সমাদর করবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং বিরোধীরা জনজাতিদের সমস্যা বুঝবেন এবং তার সমাধানে এগিয়ে আসবেন। 

এদিন তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কখনোই ত্রিপুরাকে গুরুত্ব দেননি। তাই, জনজাতিদের আওয়াজ উঠুক তাঁরা সহযোগিতা করেননি। তাঁর দাবি, দলীয় অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণেই ত্রিপুরায় কংগ্রেস দুর্বল হয়ে গেছে। তবে, বনমালিপুর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীর জয় বিজেপিকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে।