কলকাতা, ৩ মার্চ — শুক্রবার এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং সঞ্জয় করলের যৌথ বেঞ্চ। তবে তবে গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল থাকছে।চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ১৯১১ জন চাকরিপ্রাপকের একাংশ। আদালত মনে করছে হাই কোর্টের নির্দেশে ১৯১১ জনের চাকরি যাওয়ার পর ওই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ করলে আইনি জটিলতা বাড়বে।
বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কুলের ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও দেয় আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে চাকরি বাতিল হওয়া কর্মচারীরা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বেতন ফেরতের উপর স্থগিতাদেশ দিলেও, চাকরি বাতিলের উপর কোনও নির্দেশ বা স্থগিতাদেশ দেয়নি। শুক্রবারই হাই কোর্টে মামলাটির আবার শুনানি হওয়ার কথা। হাই কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেন চাকরিহারাদের একাংশ। সেখানে মামলাটির দ্রুত শুনানির আর্জি জানান তাদের আইনজীবী পার্থদেব।