• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

রাহুলের কামব্যাক

কাজের কাজটা করে দেখালেন লােকেশ রাহুল। সুযােগটা যে তাঁর জন্যই রয়েছে সেটা তিনি যথাযথ প্রমাণ করে দিয়ে মঙ্গলবার মাঠ ছাড়লেন।

লােকেশ রাহুল (Photo: IANS)

কাজের কাজটা করে দেখালেন লােকেশ রাহুল। সুযােগটা যে তাঁর জন্যই রয়েছে সেটা তিনি যথাযথ প্রমাণ করে দিয়ে মঙ্গলবার মাঠ ছাড়লেন।

শেষবার ইংল্যান্ড ছেড়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে শতরান করে, এবারে ইংল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটের অন্য ফরম্যাটে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচে নজর কাড়তে না পারলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে শতরান করে সকলের মন জয় করে নিলেন। আর দলের চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসাবে ভারতীয় দলের যে খোজটা চলছিল সেটা পুরােপুরি মিটে গেল তা আগাম বলা যায়।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার যে খেলাটা খেলে দেখালেন এবং চাপের মুখ থেকে যে অসাধারণ সুন্দর শতরানটা করলেন লােকেশ রাহুল তাতে তাঁকেই যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫ জুন সাউদাম্পটনে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলতে দেখা যাবে সেটা এখন থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

আসন্ন বিশ্বকাপে দলের চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসাবে নিজের জায়গা পাকাপাকি করে ফেলেছেন লােকেশ রাহুল সেটা নিয়ে আর কারাের মনে কোনও দ্বিধা নেই। কিন্তু, তিনি কয়েকদিন আগে টেলিভিশন শাে’তে খারাপ মন্তব্য করে ফেলায় তাঁকে একসময় নির্বাসনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেখান থেকে নিজেকে বার করে এনে যেভাবে প্রমাণ করলেন রাহুল তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আর নির্বাচকরা তাঁকে দলে নিয়ে যে ভুল করেননি সেটার প্রমাণ রাহুল নিজেই দিয়ে গেলেন।

তিনি জানান, একটা খারাপ সময়ের মধ্যে যাচ্ছিলাম। তখন বেশিরভাগ সময়টাই রাস্তায় কাটাতাম। বুঝতে পারছিলাম না কি করব। তবে ওই জায়গার মধ্যে থেকে অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পেরেছি। আমাকে নতুন করে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ ও নতুনত্ব কিছু করে দেখানাের ইচ্ছা সৃষ্টি করেছিল। অফফর্মে থাকার সময়ে নিজের খেলার বিশ্লেষণ করা যায়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। কঠিন সময়ে আমি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। পরিস্থিতি আমার পক্ষে ছিল না। কিন্তু আমি নিজেকে তৈরি করেছিলাম। খারাপ সময়টাতেও নিজের ফোকাসটা খেলার মধ্যে রেখেছিলাম। আমি বাউন্স ব্যাক করতে পেরে অত্যন্ত খুশি।

আইপিএল আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে সেটা বলতে কোনও দ্বিধা প্রকাশ করব না। তবে, আমার খারাপ সময়ে একজন পাশে ছিল। এবং আমাকে মানসিক দিক দিয়ে চাঙ্গা করেছিল। তার কথা আজ না বললে খারাপ হবে। তিনি হলেন রাহুল দ্রাবিড়। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং তিনি আমাকে সাহায্য করেছিলেন। তিনি আমাকে বুঝিয়েছিলেন একজন ক্রিকেটারের জীবনে এরকম খারাপ ও ভালাে সময় আসতেই পারে। ভাব তােমার জীবনে ওটা একটা খারাপ সময় ছিল। ওখান থেকে তােমায় বেরিয়ে আসতে হবে। সেটা আমার মনে দৃঢ় হয়ে গ্রেথে গিয়েছিল। আমি সেই পথে হাঁটতে শুরু করি। রাহুল স্যারের দেখানাে পথে হেঁটে আজ আমি এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি।

তিনি যদি সেই সময় আমার পাশে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলাে না বলতেন তা হলে হয়তাে আমায় আজ এখানে দেশের জার্সি গায়ে কেউ খেলতে দেখতে পারত না। পাশাপাশি আমার খারাপ সময়ে যারা আমার সঙ্গে ছিলেন তাদের আমি প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর নির্বাচকরা আমাকে যে সুযােগটা দিয়েছেন সেটা আমি কাজে লাগাতে চাই এবং তারা আমায় যে সুযােগটা দিয়েছেন সেটার সদব্যবহার করতে চাই।

দল যেখানে চাইবে আমি সেখানেই খেলব। তারা যদি মনে করে আমি চার নম্বরে ব্যাট করার জন্য উপযুক্ত তা হলে আমি উপযুক্ত। আর আমি ওখানেই নিজের সেরা খেলাটা মেলে ধরার চেষ্টা করব। বিশ্বকাপ এমন একটা প্রতিযােগিতা যেখানে সকলেই নিজের সেরাটা উজার করে দেবে। এটা আমার প্রথম বিশ্বকাপ। তাই আমিও চাইব নিজের খেলার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজের কাজটা করে যেতে এবং আমার পারফরমেন্সের মধ্যে দিয়ে দলকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে থেকে বার করে এনে জয় এনে দিতে।