• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শিশুর বিরল রোগ সারাতে ব্যাঙ্কে হঠাৎ ১১ কোটি পেলেন দম্পতি!

মুম্বই, ২৩ ফেব্রুয়ারি– মেনন পরিবারের কাছে এ যেন সাক্ষাৎ ঈশ্বর দর্শন। যদিও দর্শন বলা ভুল। কারণ যিনি তাঁদের মৃত্যু মুখযাত্রী শিশুপুত্রের জন্য যিনি ১১ কোটি দিয়েছেন তিনি তাঁর নাম-ধাম কিছুই জানাতে চাননি। মেনন দম্পত্তির একমাত্র শিশুর বয়স মাত্র ১৫ মাস। এরই মধ্যে বিরল রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। যার চিকিৎসা ব্যয়সাপেক্ষ। ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে

মুম্বই, ২৩ ফেব্রুয়ারি– মেনন পরিবারের কাছে এ যেন সাক্ষাৎ ঈশ্বর দর্শন। যদিও দর্শন বলা ভুল। কারণ যিনি তাঁদের মৃত্যু মুখযাত্রী শিশুপুত্রের জন্য যিনি ১১ কোটি দিয়েছেন তিনি তাঁর নাম-ধাম কিছুই জানাতে চাননি। মেনন দম্পত্তির একমাত্র শিশুর বয়স মাত্র ১৫ মাস। এরই মধ্যে বিরল রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। যার চিকিৎসা ব্যয়সাপেক্ষ। ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে যখন বাবা, মায়ের নাভিশ্বাস উঠছে, সেই সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আচমকা ১১ কোটি টাকা পেলেন তাঁরা। কে টাকা দিল, নামটুকুও জানা যায়নি। অচেনা সেই সহৃদয় ব্যক্তির উদ্দেশে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দম্পতি।

কেরলের বাসিন্দা সারাং মেনন এবং অদিতি মুম্বইতে থাকেন। সম্প্রতি তাঁদের সন্তান নির্বাণের কঠিন রোগ ধরা পড়েছে। বিরল জিনগত রোগ এসএমএ টাইপ ২-এর শিকার ছোট্ট এই শিশুর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ। জ়োলগেনস্‌মার এক একটি ডোজ়ের দাম সাড়ে ১৭ কোটি টাকা। বিদেশ থেকে ভারতে ওষুধটি আসতে সময় লাগে অন্তত ২০ দিন। কী ভাবে ছেলের চিকিৎসা এগিয়ে নিয়ে যাবেন, কোথা থেকে এত টাকা জোগাড় করবেন, ভেবে পাচ্ছিলেন না দম্পতি। তাঁরা ছেলের চিকিৎসার জন্য অর্থসাহায্য চেয়ে দু’টি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সহৃদয় ব্যক্তিদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। আর তাতেই হল মিরাকল।

একটি অ্যাকাউন্টে আচমকা ১১ কোটি টাকার অনুদান পেয়েছেন কেরলের ওই দম্পতি। যিনি এই মোটা টাকার অর্থসাহায্য করেছেন, তিনি নিজের নামও জানাননি। ফলে ধন্যবাদ জানানোর কোনও পথ খোলা নেই দম্পতির কাছে। এই নিয়ে শিশুর চিকিৎসার জন্য এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি ৩০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮১৮ টাকা জোগাড় করতে পেরেছেন তাঁরা। কৃতজ্ঞতা স্বীকারের জন্য বেছে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমকেই।

শিশুটির বাবা সারাং জানিয়েছেন, ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে হঠাৎ দেখেন, ১১ কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে চলে এসেছে। প্রথমে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এমন কিছু হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেছিলেন দম্পতি। কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য খতিয়ে দেখার পর বিপুল পরিমাণ অনুদানের বিষয়ে নিশ্চিত হন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের আনন্দ, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই।