• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

৬০ ঘন্টা পর আয়কর সমীক্ষা শেষ , একইভাবে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করা হবে – বিবৃতি দিল বিবিসি   

দিল্লি , ১৭ ফেব্রুয়ারি — টানা ৩ দিন ধরে আয়কর সমীক্ষার পর বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিস ছাড়লেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু করে  বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ চলে. রাতে আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা বিবিসির অফিস ছাড়েন । সমীক্ষা শেষ হওয়ার পরই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি বিবৃতি দিয়ে জানায় , এর কোনও প্রভাব তাঁদের সংবাদ পরিবেশনের উপর পড়বে

দিল্লি , ১৭ ফেব্রুয়ারি — টানা ৩ দিন ধরে আয়কর সমীক্ষার পর বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিস ছাড়লেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু করে  বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ চলে. রাতে আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা বিবিসির অফিস ছাড়েন । সমীক্ষা শেষ হওয়ার পরই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি বিবৃতি দিয়ে জানায় , এর কোনও প্রভাব তাঁদের সংবাদ পরিবেশনের উপর পড়বে না। আগের মতোই নির্ভয়ে এবং নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করবে এই সংস্থা।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে টানা বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাইয়ের দুই অফিসে সমীক্ষা চালাচ্ছিল আয়কর বিভাগ। বিবিসির কয়েকজন  সাংবাদিক ও আধিকারিক এই তিনদিন টানা অফিসেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে সমীক্ষা শেষ হওয়ার পর তাঁরা বাড়ি ফেরেন। সূত্রের খবর, আয়কর আধিকারিকরা বিবিসির সমস্ত নথি যাচাই করে দেখেছেন। সংস্থার আর্থিক লেনদেন এবং অন্যান্য নথিপত্র  সংগ্রহ করেন। এমনকী সংস্থার আধিকারিকদের মোবাইল ফোন ক্লোন করে নেওয়া হয়।

বিবিসির তরফে বৃহস্পতিবার রাতে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “আয়কর আধিকারিকরা আমাদের দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিস থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। আমরা আগের মতোই আয়কর বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা করব। এবং আমাদের আশা দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।” বিবিসির বিবৃতিতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, কোনওরকম চাপের কাছে তারা মাথা নত করবে না। তাদের বিবৃতি অনুযায়ী, বিবিসি বিশ্বস্ত এবং স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। আমরা আমাদের সহকর্মী এবং সাংবাদিকদের পাশে আছি। ভয় না পেয়ে আগের মতোই আমরা নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করব।” সমীক্ষা চলাকালীন কর্মীদের অভিজ্ঞতার কথাও বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের অনেক কর্মীকেই দীর্ঘ সময় ধরে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। রাত জাগতে হয়েছে। তাঁদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে।”ওই বিবৃতিতে অবশ্য এ-ও বলা হয়েছে যে, আয়কর বিভাগের সঙ্গে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা।

উল্লেখ্য, বিরোধী দলগুলির দাবি,  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিতর্কিত তথ্যচিত্র তৈরি করার জন্যই বিবিসিকে সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও আয়কর বিভাগ সূত্রের দাবি, এর মধ্যে প্রতিহিংসা বা রোষের কিছুই নেই। আয়কর বিভাগ বিবিসির অধীন বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মূল সংস্থার যোগাযোগ এবং কর সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাই করার জন্যই এই সমীক্ষা চালিয়েছে।