দলীয় সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধির ইস্তফা দেওয়া উচিত নয় বরং সভাপতির পদে থেকেই লক্ষ্যপূরণের জন্য এগিয়ে যাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মােদির প্রশংসা করার পাশাপাশি এমনই দাবি জানালেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ রজনীকান্ত।
আবার আরজেডি সুপ্রিমাে লালুপ্রসাদ যাদবের মতে, কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধির সরে দাঁড়ানাের সিদ্ধান্ত আত্মহত্যা করার শামিল।
দলীয় সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধির ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মঙ্গলবারই বৈঠকে বসেছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই বৈঠকের প্রাক্কালে রাহুল গান্ধিকে ইস্তফা না দেওয়ার বার্তা দিলেন রজনীকান্ত। তাঁর কথায়, ‘তাঁর (রাহুল গান্ধি) ইস্তফা দেওয়া উচিত নয়। বরং তিনি যে লক্ষ্য পৌঁছতে পারবেন তা তাঁর প্রমাণ করা উচিত।’
গণতন্ত্রে বিরােধীদের শক্তিশালী হওয়া উচিত একইভাবে জেলের মধ্য থেকে লালুপ্রসাদের বার্তা, ‘রাহুল ইস্তফা দিলে সেটা আত্মহত্যার সামিল হবে। বিজেপিকে স্থানচ্যুত করাই সমস্ত বিরােধী দলের লক্ষ্য ছিল। সেটা ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু একটি নির্বাচনের ফলাফল কখনও ভারতের মতাে বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং জনবহুল দেশের বাস্তব পরিস্থিতিকে বদলাতে পারবে না।’
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে প্রবীণ রাজনীতিবিদ লালুপ্রসাদ মনে করেন, রাহুল গান্ধি ইস্তফা দিলে বিজেপির ফাঁদেই পা দেওয়া হবে। এছাড়া রাহুল গান্ধির বদলে অন্য কেউ কংগ্রেস দলের দায়িত্ব নিলে মােদি-শাহ ব্রিগেড সােনিয়া-রাহুলের ‘হাতের পুতুল’ তকমা দেবে বলেও দাবি জানিয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ‘যুবরাজ’-এর প্রতি প্রবীণ নেতার প্রশ্ন, ‘রাহুল কেন নিন্দুকদের সুযােগ নিতে চাইছেন?’
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে নরেন্দ্র মােদি তথা বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেষ্টার অন্ত রাখেননি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। তা সত্ত্বেও নির্বাচনে জেতা দূর অস্ত, ইউপিএ জোটের আসন সংখা একশাে পেরােয়নি। এমনকি নিজের গড়েই পরাজিত হয়েছেন রাহুল। তাই নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানাের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল গান্ধি।
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি তার সিদ্ধান্ত গৃহীত না করলেও রাহুল অনড়। তাই বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ফের বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।