• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মসজিদে জঙ্গি হামলায় নিহত ৯০ জন, আহত প্রায় শতাধিক 

ইসলামাবাদ, ৩১ জানুয়ারি–  মসজিদে প্রার্থনার সময় জঙ্গি হামলায় নিহত ৯০ জন, । পাকিস্তানের পেশোয়ারের ঘটনা। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান বা  টিটিপি।  হামলার পরই তার দায় স্বীকার করে টিটিপি জঙ্গি সংগঠন।  টিটিপির কমান্ডার  উমর খালিদ খুরাসানির মৃত্যুর বদলা নেওয়া হলো বলে জানিয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন।   প্রাথমিক সূত্রে খবর, এক আত্মঘাতী হামলাকারী আচমকা মসজিদে ঢুকে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।  নমাজের আগে উপাসকদের মধ্যেই

ইসলামাবাদ, ৩১ জানুয়ারি–  মসজিদে প্রার্থনার সময় জঙ্গি হামলায় নিহত ৯০ জন, । পাকিস্তানের পেশোয়ারের ঘটনা। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান বা  টিটিপি।  হামলার পরই তার দায় স্বীকার করে টিটিপি জঙ্গি সংগঠন।  টিটিপির কমান্ডার  উমর খালিদ খুরাসানির মৃত্যুর বদলা নেওয়া হলো বলে জানিয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন। 

 প্রাথমিক সূত্রে খবর, এক আত্মঘাতী হামলাকারী আচমকা মসজিদে ঢুকে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।  নমাজের আগে উপাসকদের মধ্যেই মিশে ছিল হামলাকারী। নামাজপাঠ শুরু হওয়ার পরই, সে তার গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ভরা জ্যাকেটে বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই সময় মসজিদে অন্তত ২৬০ জন লোক ছিলেন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মসজিদটির একাংশ পুরো ধসে গিয়েছে। বহু মানুষ আহত হন, তাঁদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় বহু মানুষকে উদ্ধার করে পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।  বিস্ফোরণের অভিঘাতে মসজিদটির একাংশ পুরো ধসে গিয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের উদ্ধার করার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কী প্রকৃতির বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা চলছে।

 তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপির কমান্ডার ছিলেন উমর খালিদ খুরাসানি। ২০২২-এর অগস্টে পাকিস্তান সেনার গুলিতে নিহত হন তিনি। পাকিস্তানের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দাদার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার জন্য গোপনে হামলার প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন তাঁর ভাই মুকর্রম। সোমবার মসজিদে হামলা তাঁরই পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়। খুরাসানির আসল নাম আব্দুল আলি মহম্মদ। তিনি প্রথমে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-মুজাহিদিনে যোগ দিয়েছিলেন। এই জঙ্গি দলটি মূলত কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল। এর পর টিটিপির সদস্য হন। কাশ্মীরে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন খুরাসানি। ২০১৪ সালে টিটিপির শাখা সংগঠন জামাত-উল-আহরারের প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এই জঙ্গি সংগঠনটি মূলত জনতা, সংখ্যালঘু এবং সেনা-জওয়ানদের উপর হামলা চালাত। বহু হামলার সঙ্গে এই সংগঠনের জড়িত থাকাযে প্রমান মিলেছে।  ২০১৬ সালে গুলশন-ই-ইকবাল বিনোদন পার্কে এই সংগঠনের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৭০ জনেরও বেশি মানুষের। ২০১৮ সালে আমেরিকা খুরাসানির মাথার দাম রেখেছিল ৩০ লক্ষ ডলার।

২০২২ সালের অগস্টে আফগানিস্তানের পাকটিকা এলাকায় খুরাসানির কনভয়ে বোমা হামলা হয়। সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। খুরাসানি ছাড়াও ওই বিস্ফোরণে নিহত হ ন টিটিপির আরও দুই কমান্ডার।

ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পাক নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদসরা। পুরো এলাকাটিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।