ইসলামাবাদ, ২৭ জানুয়ারি — ডলার প্রতি ২৫৫ টাকায় পৌঁছল পাকিস্তানে টাকার দাম। পাকিস্তানী টাকার এমন রেকর্ড পতনের জেরে আর্থিক সংকটে জেরবার দেশের অর্থনীতি।
খবর বলছে, একধাক্কায় ২৪ টাকা পড়ে গিয়েছে পাকিস্তানী টাকা। এই আর্থিক বেহাল অবস্থা থেকে পাকিস্তানকে বাঁচাতে পারে একমাত্র আইএমএফ ।আইএমএফের ঋনই একমাত্র জিয়ন কাঠি পাকিস্তানের। কারণ গতবছরও মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার পাকিস্তানকে দুরবস্থা থেকে বাঁচিয়ে তুলেছিল আইএমএফ। কিন্তু এবছর সেটাও সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এহেন পরিস্থিতিতে সাড়ে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পেতে মরিয়া ইসলামাবাদ। আর তাই আইএমএফের কথাতেই বুধবার থেকে বিনিময় হারে সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান। আর তার ফলেই নামতে শুরু করেছে টাকার মূল্য।
উল্লেখ্য, রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল থেকে যেকোন খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। দু’বেলা খাবার জোটাতে হিমশিম আমজনতা। অমিল ইসলামাবাদে। এবার আটার জন্য় হাহাকারও চোখে পড়ল সে দেশে। জানা গিয়েছে, ১৫ কেজির আটার বস্তার দাম ১৫০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫০ টাকা। দু’সপ্তাহের মধ্য়ে আটার দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা।
পাক সংবাদমাধ্যম ডন-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সে দেশে পাম তেল, সোয়াবিনের তেল ও সানফ্লাওয়ার তেলের জোগানে ঘাটনি দেখা দিয়েছে। মিলছে না রান্নার তেলও। ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত তেলভাণ্ডারেও টান পড়বে শীঘ্রই। অথচ এগুলি সে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় নাম রয়েছে এই তিন তেলের। আকাশছোঁয়া জ্বালানির দাম। এমনকী মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও মাঝেমাঝে ব্যাহত হচ্ছে। তারপরেও চাহিদামতো জোগানে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। যার জেরে শাহবাজ শরিফের সরকারের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।