যে চিঠিতে হোহন পিচাইকে পইপই করে বোঝাতে চেয়েছেন, খারাপ সময় আসছে। কাউকে চাকরি থেকে ছেঁটে ফেলা কঠিন কাজ জানি। তবু তোমায় বাস্তবটা মেনে নিতে হবে। সংস্থাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই এখনই নজর দাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে।’
সে ব্যাপারে নির্মম পরামর্শ দিয়েছেন ক্রিস্টোফার হোহন। তিনি বলেছেন, ‘গুগলের যে বর্তমান কর্মী সংখ্যা রয়েছে, তা ২০ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে হবে। তবেই একটা জায়গায় দাঁড় করানো যাবে। দুঃসময় এলে তখন এই কাজ করার সুযোগ থাকবে না।’ তিনি বলেছেন, ‘শক্ত কাজ। কিন্তু করতে হবে। নইলে রক্ষে নেই।’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, গুগলের বর্তমান কর্মী সংখ্যা তথা ওয়ার্ক ফোর্সের ২০ শতাংশ মানে কত? বলা হচ্ছে, সেই সংখ্যাটা প্রায় দেড় লক্ষ। অর্থাৎ দেড় লক্ষ কর্মীকে স্রেফ ছেঁটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন ক্রিস্টোফার হোহন।
সম্প্রতি গুগল ১২ হাজার কর্মীকে বলে দিয়েছে, ‘কাল থেকে কাজ করতে হবে না।’ যা অশনিসঙ্কেত হিসেবেই দেখেছেন বিশ্ব অর্থনীতির বোদ্ধারা। শুধু তো গুগল নয়, অ্যামাজন, সুইগি, স্পটিফাই, উইপ্রো, মেটা, টুইটার—ছাঁটাইয়ের তালিকায় নাম উঠে আসছে বিশ্ব কর্পোরেটের তাবড় ব্র্যান্ড বা সংস্থার।
এই ধনকুবেরের পরামর্শ মেনে দেড় লক্ষ কর্মীকে সুন্দর পিচাই ছেঁটে ফেলবেন কিনা তা জানা যায়নি। তবে ১২ হাজার কর্মীর ছাঁটাইয়ের সমর্থনে যুক্তি দিয়েছেন পিচাই। গুগল কর্তা বলেছেন, ‘সঠিক সময়ে যদি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কারণ এটা প্রয়োজন ছিল।