• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বঙ্গভবনে ‘অনুপ্রবেশ’ রুখতে বাংলার বিশেষ প্রমীলা বাহিনী

ভদোদরা, ২৩ জানুয়ারি-– কিছুদিন আগে বঙ্গ সরকারের বিনা অনুমতিতে দিল্লিতে বঙ্গভবনে ঢুকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল গুজরাত এবং দিল্লি পুলিশ । সেই ঘটনার পূর্ণরাবৃত্তি রুখতে এবার বড় পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার । বঙ্গের তৃণমূল সরকার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার থেকে দিল্লির হেইলি রোডের বঙ্গভবনে রাজ্য পুলিশের বিশেষ মহিলা বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। নাইন এমএম পিস্তল সহ

ভদোদরা, ২৩ জানুয়ারি-– কিছুদিন আগে বঙ্গ সরকারের বিনা অনুমতিতে দিল্লিতে বঙ্গভবনে ঢুকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল গুজরাত এবং দিল্লি পুলিশ । সেই ঘটনার পূর্ণরাবৃত্তি রুখতে এবার বড় পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার । বঙ্গের তৃণমূল সরকার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার থেকে দিল্লির হেইলি রোডের বঙ্গভবনে রাজ্য পুলিশের বিশেষ মহিলা বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। নাইন এমএম পিস্তল সহ রাজ্য সরকারের এই অতিথিশালায় নিরাপত্তা দেবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এই মহিলা বাহিনী। রোটেশন পদ্বতিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামালাবে এই প্রমিলা বাহিনী।
দিল্লির বঙ্গভবন থেকে তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলেকে গুজরাত পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল । তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রকে গ্রেফতারির পাশাপাশি বঙ্গভবন থেকে সিসিটিভি ফুটেজ অনৈতিকভাবে সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ তোলে তৃণমূল। সাকেত গোখলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের একজন সোশাল ওয়ার্কারকে বঙ্গভবন থেকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজস্থান বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে আহমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত জামিন দেওয়ার পর তাঁকে আবার গ্রেফতার করা হয়।”
বঙ্গভবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , “বঙ্গভবনের কথা আমি কয়েকদিন আগে শুনলাম। বঙ্গভবন আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্পত্তি অনুমতি ছাড়া যদি কেউ সেখানে যায়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন আইনের পথে চলবে।” সেই পথে হেঁটেই এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বঙ্গভবনে গুজরাত পুলিশের অভিযান নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “বেআইনিভাবে গুজরাট পুলিশ, দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এসে বঙ্গভবনের সব সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নিয়ে গিয়েছে। বঙ্গভবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা থাকেন। আমি দিল্লি গিয়ে অভিষেকের বাড়িতে না থাকলে বঙ্গভবনে থাকি । সেখানে রাজ্যের রাজ্যপাল, কলকাতা হইকোর্টের প্রধান বিচারপতিরা থাকেন। সাংবাদিকরাও সেখানে থাকেন। সেখানে ঢোকার অধিকার কে দিল? আমি বুলডোজার চালানোর পক্ষে নই। গণতন্ত্রকে যাঁরা বুলডোজ করে আমি তাদের বিপক্ষে ।”