বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্ব নির্ধারিত সফলসুচির কারণে এবারও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে থাকতে পারছেন না। তবে এবার তিন দেশ সফর শেষে ভারত ঘুরে ঢাকা ফেরার কথা ভাবা হচ্ছে।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মােদি প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকতে পারেননি। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিনি জাপান সফরে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নরেন্দ্র মােদি সার্ক দেশগুলাের সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
এবারও শেখ হাসিনা থাকতে পারছে না পূর্ব নির্ধারিত সফরসূচির কারণে, এবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মােজাম্মেল হক। তবে তিন দেশ সফর শেষে ভারত হয়ে ঢাকায় ফেরার কথা ভাবা হচ্ছে। জানা গেছে, এ বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ-আলােচনা চলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র এ তথ্য জানায়।
শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম একসঙ্গে তিনটি দেশ সফরে যাচ্ছেন। ২৮ মে মঙ্গলবার সকালে তিন দিনের সরকারি সফরে জাপানের উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন তিনি। জাপানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশ নিয়ে সেখান থেকে ৩০ মে সরাসরি সৌদি আরব যাবেন তিনি। সৌদি আরবে ৩১ মে ১৪ তম ওআইসি সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একাধিক চুক্তি সইয়ের কথা রয়েছে তাঁর। এরপর সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন ফিনল্যান্ড। সফরের তৃতীয় ধাপটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মােমেন আজ এক সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেছেন, ফিনল্যান্ডেই ঈদ পালন করবেন শেখ হাসিনা। সেখানে রাষ্ট্রীয় কোনও অনুষ্ঠান নেই। সেখানে ভাগ্নে রাদওয়ান সিদ্দিক ববি’র মেয়েকে দেখে ভারত হয়ে দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলােচনা চলছে।
৩০ মে নরেন্দ্র মােদির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় দফার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনাকে নিমন্ত্রণ করা হলেও তিনি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির কারণে যেতে পারছেন না। সে কারণেই পরবর্তী সপ্তাহে ফিনল্যান্ড থেকে ফেরার পথে ভারতে যেতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে তাঁর দেশে ফেরার নির্ধারিত তারিখ ৮ জুন থেকে পিছিয়ে যেতে পারে।