আগরতলা, ১৪ জানুয়ারি– নির্বাচন কমিশন দিন ঘোষণা না করলেও ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে দিন ক্ষণ ঘোষণা না হলে আগামী ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্য ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন।আগে-ভাগে প্রার্থী ঘোষণায় জানান দিচ্ছে এই দুই রাজ্যের ভোটে সক্রিয় উপস্থিতি থাকবে তৃণমূলের। আর সেই সক্রিয়তার আগাম জানাতেই আগামী ১৭ জানুয়ারি মেঘালয় সফরে যেতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। এমনটাই জানা গিয়েছেন তৃণমূল সূত্রে।
মেঘালয়ে আসন্ন বিধানসভার ভোট উপলক্ষে তুরায় জনসভা করবেন তিনি। ইতিমধ্যে তৃণমূল সেখানে ৫২টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভার ভোটের প্রচারে, সেখানকার স্থানীয় ভাষায় গান তৈরি করে প্রচার শুরু করেছে বাংলার শাসকদল।
পশ্চিমবঙ্গের পর আরও একটি রাজ্যে নিজেদের পদচিহ্ন রাখতে মরিয়া তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং রাজ্যের জনসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা মেঘালয়ের পর্যবেক্ষক মানস ভূঁইয়া ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সেই রাজ্যে গিয়ে প্রচার করা একটি ভিন্ন বিষয়। পশ্চিমবঙ্গের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনকে সামনে রেখেই ভোটের দিক পরিবর্তন করতে চাইছে তৃণমূল। মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনে ১৭ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর সভা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে মেঘালয় সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেখানে একটি কর্মীসভায় মমতা বলে এসেছিলেন, তৃণমূল সে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করলে সেখানে নেতৃত্ব দেবেন মেঘালয়ের মানুষ। তিনি এবং অভিষেক পরামর্শ দেবেন মাত্র। পশ্চিমবঙ্গের এক ঝাঁক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে সেই ধরনের প্রকল্প চালু করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এ বার মমতা মেঘালয় যাচ্ছেন ভোটের প্রচারে। তাই শিলং গিয়ে তিনি এই সফরে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির অনুন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত মেঘালয়ের তৃণমূল নেতৃত্ব।