উত্তরাখন্ড, ১২ জানুয়ারি– বদ্রীনাথের গেটওয়ে যোশীমঠের অবস্থা এখন তথৈবচ। যোশীমঠের জন্য ৪৫ কোটির পুনর্বাসন প্যাকেজের ঘোষণা করেছে ধামি সরকার । ডুবন্ত শহর যোশীমঠে এখন চলছে উদ্ধার কাজ। নতুন করে কোনও বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসন সবসময় নজর রেখেছে পরিস্থিতির ওপর। এমনকী উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীও রাত কাটিয়েছেন ভিটেহীন মানুষদের সঙ্গে। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৪৫ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
বিগত কয়েকদিনের মধ্যেই জোশীমঠের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ৭০০ পরিবার ঘরছাড়া। হোটেল থেকে বাড়ি— যেখানে যেখানে ফাটল দেখা দিয়েছে সেগুলি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু গোটা জোশীমঠই কি বিপজ্জনক? মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, “অযথা চিন্তা করবেন না। শহরের মাত্র ২৫ শতাংশ বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।”
জোশীমঠের এই বিপর্যয়ের ফলে অনেকের মনেই বদ্রীনাথ যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আদৌ কি যাত্রা পথে এই শহরে থাকা যাবে? মুখ্যমন্ত্রী ধামী আশ্বস্ত করেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। বদ্রীনাথের যাত্রা পথে পুণ্যার্থীরা এই শহরে থাকতে পারবেন।
তাঁর কথায়, “এমন একটা ধারণা তৈরি করার চেষ্টা চলছে যে পুরো শহর ডুবতে বসেছে। উত্তরাখণ্ডে বিশাল সংকট চলছে। কিন্তু বাস্তবে তা নয়।” এরপরই তিনি যোগ করেন, “এমনসব কথাবার্তা ছড়িয়ে উত্তরাখণ্ডের মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াবেন না। আমরা প্রায়ই এই রাজ্যে নানান সংকটের মুখোমুখি হই। সেই বিপদের সঙ্গে লড়াই করি, কাটিয়েও উঠি। জোশীমঠের বিপর্যয়ও কাটিয়ে উঠব।”
জোশীমঠে ভয়াবহ ভূমিধসের কারণে ঘরছাড়া হয়েছে সাতশো পরিবার। ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ ধ্বংসের মুখে। জোশীমঠের বিভিন্ন বাড়ি, হোটেলে গত ২ জানুয়ারি থেকেই ফাটল ধরতে দেখা গিয়েছিল। সেই ফাটল ক্রমশ চওড়া হয়েছে। তাতেই বিপত্তি। শুধু তাই নয় এখানকার সেনা ছাউনিতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সেনা প্রধান জানিয়েছেন, সেনা ছাউনির ২৫ থেকে ২৮টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেগুলি চিহ্নিত করে সেনাদের সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁদের আউলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।