পুনে,৬ জানুয়ারি– সময়ের আগে জন্ম হওয়ায় ওজন ছিল স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম। আকারে এতটাই ছোট ছিল সদ্যোজাত যে, দু’হাতের তালুতে নেওয়া যাচ্ছিল তাকে। মাত্র ৪০০ গ্রাম ওজনের ৩০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘের ভারতের ক্ষুদ্রতম প্রিম্যাচিওর বেবির জন্ম হয়েছে পুণের হাসপাতালে। জন্মের পরে শিশুটির বাঁচার সম্ভাবনা ছিল ১ শতাংশেরও কম। শরীরের সমস্ত অঙ্গ অপরিণত, তীব্র অ্যানিমিয়া, শ্বাসকষ্ট–সব নিয়েও সদ্যোজাতের প্রাণ বাঁচিয়ে অসাধ্য সাধন করেছেন ডাক্তাররা।
মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার। হাত-পায়ের গঠন সবে শেষ হয়েছে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গ তখনও অপরিণত। গত বছর মে মাসে পুণের একটি নার্সিংহোমে মাত্র ২৪ সপ্তাহেই জন্ম নিয়েছিল শিবন্যা। বাঁচার আশা ছিল ১ শতাংশেরও কম। ডাক্তারবাবুরা বলেছিলেন, দেশের ক্ষুদ্রতম নবজাতক। শিশুটির মা ২৭ বছরের উজ্জ্বলা পাওয়ারের আশা ছিল তাঁর মেয়ে নিশ্চয়ই বাঁচবে।
মে মাস থেকে টানা অগস্ট অবধি শিশুটির চিকিৎসা করেছিলেন ডাক্তাররা। ৯০ দিনের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল হাসপাতাল। অগস্টেই দেখা যায় শিবন্যার ওজন বেড়ে হয়েছে ২ কেজি ১৩০ গ্রাম। তখন সে নিজেই শ্বাস নিতে পারে, ক্যাথিটার দিয়ে খাওয়াতেও হয় না