• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

প্রথম বছরেই ভালো সারা ফেলেছে পিএনএসি ক্লাবের আয়োজিত ‘মেধার খোঁজ ‘পরীক্ষা

কলকাতা ,৪ জানুয়ারী —শিয়ালদা বাজারের ধাপিতে বসে আলু বিক্রী করেন বাবা।ছেলের তিনবছরের পড়াশোনা একটু হলেও নিশ্চিন্ত হল।সাতবছরের বে-রোজগেরে বাবা। মায়ের কটা মাত্র টিউশন, আর তাতেই সংসারযাপন। ছেলে বাবা-মায়ের পরিশ্রমকে একটু লাঘব করলো। আটজনের একান্নবর্তী পরিবার। বাবা আর কাকা পার্বণ এলে পুজো-আচ্চাই করেন। রোজগার-সম্বল বলতে ঐকুটই। ছেলে একটু হলেও সামাল দিল। কেউ হয়তো নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে

কলকাতা ,৪ জানুয়ারী —শিয়ালদা বাজারের ধাপিতে বসে আলু বিক্রী করেন বাবা।ছেলের তিনবছরের পড়াশোনা একটু হলেও নিশ্চিন্ত হল।সাতবছরের বে-রোজগেরে বাবা। মায়ের কটা মাত্র টিউশন, আর তাতেই সংসারযাপন। ছেলে বাবা-মায়ের পরিশ্রমকে একটু লাঘব করলো। আটজনের একান্নবর্তী পরিবার। বাবা আর কাকা পার্বণ এলে পুজো-আচ্চাই করেন। রোজগার-সম্বল বলতে ঐকুটই। ছেলে একটু হলেও সামাল দিল। কেউ হয়তো নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে পাঠরত,কেউবা শ্যামনগর মুলাজোর সীতানাথ, কেউবা কল্যাণী শিক্ষায়তন কেউ আবার উত্তর গরিফা পল্লীমঙ্গল স্কুলের।এরকমই কিছু বাস্তব উদাহরণের কোলাজ ধরা পড়লো অভয়চরণ মেরিট হান্ট পরীক্ষার। নাইনের পাঠ্যক্রম ভিত্তিক মেধার খোঁজ পরীক্ষা যা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো গত ১৮ ই ডিসেম্বর। প্রায় আটশো পরীক্ষার্থীর মধ্যে কারুর ঠিকানা হয়তো পাথরপ্রতিমা, কারুর কাঁথী,কারুর রানাঘাট,কারুর চাকদা।বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় একশোর কাছাকাছি স্কুল থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আয়োজিত এই ‘মেধার খোঁজ’ প্রথম বছরেই বেশ সাড়া জাগিয়েছে।পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার অন্বেষণ – সম্ভব আদৌ..? এ নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে কিন্তু একদা নন্দিত অধ্যায়গুলোকে চিরায়ত বন্দিত করে রাখার এই প্রচেষ্টা সত্যিই অভিনবত্বের দাবী রাখে।অনুষ্ঠানে মহাকাশ নিয়ে শব্দ ও দৃশ্যের মাধ্যমে “মহাবিশ্বকে জানো” এই বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করেন ব্যাঙ্গালুরু ক্রাইষ্ট ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞান গভেষক গৌরব বন্দ্যোপাধ্যায়।অনুষ্ঠানে গুণীজন সমারোহের মধ্যে বিশেষ ভাবে উপস্থিত ছিলেন জলসম্পদ ও সেচ দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক,ঋষি বঙ্কিম ভবন গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ড. রতনকুমার নন্দী,আন্তর্জাতিক চিত্রী অধ্যাপক বিশ্বতোষ সেনগুপ্ত,কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুখেন বিশ্বাস। বঙ্কিম হরপ্রসাদের শহর নৈহাটির একটি বছর চল্লিশের ক্লাব পিএনএসি’র এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরোও ছড়িয়ে পড়বে আশা করা যেতেই পারে।