বিবিসি সূত্রে খবর, রবিবার রাতে কিয়েভে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া। শহরটিতে ঘন ঘন বেজে উঠে এয়ার রেড সাইরেন। কিয়েভের গভর্নর ওলেক্সি কুলেবা জানান, মধ্যরাতের কিছু আগে হওয়া হামলায় বিদ্যুৎকেন্দ্র, জলবণ্টন প্রণালীর মতো জরুরি পরিকাঠামোগুলিকে নিশানা করেছে রুশ বাহিনী। তিনি আরও জানান, ইরানেব তৈরি ‘শাহেদ’ ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়ার সেনা। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎশ্চকো জানিয়েছেন শহরের উত্তর-পূর্বে বিস্ফোরণ হয়েছে। ভেয়ে পড়া রুশ ড্রোনের আঘাতে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
বছরের প্রথম দিনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, “আমরা লড়ছি। এই লড়াই চালিয়ে যাব- একটাই শব্দ, ‘জয়ের’ জন্য।” নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। সেখানে ইউক্রেনে আগ্রাসন নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই নৈতিক লড়াই ঐতিহাসিক।’’
তবে ঠিক কতজন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে লতুন বছরে পুতিন তাঁর সেনাদের পুরস্কৃত করেছেন বলে খবর। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানান, নববর্ষের অনুষ্ঠানে ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়েছে। রুশ টিভিতে দেখানো হয়েছে সেই দৃশ্য। সামরিক পোশাকে থাকা সেনাদের সঙ্গে শ্যাম্পেনের গ্লাস হাতে ছিলেন পুতিনও।
উল্লেখ্য, এই যুদ্ধে রাশিয়ার অন্যতম অস্ত্র হচ্ছে শীত। এখন কিয়েভে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে। ফলে ঘর গরম রাখতে ও জলের পাইপগুলিকে সচল রাখতে বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেই দুর্বল জায়গাতেই আঘাত করছে রাশিয়া। এভাবে জনতার মনোবল ভাঙতে চাইছে পুতিন বাহিনী। শুধু তাই নয়, ঠান্ডায় ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার একটি পরিকল্পনাও করছে রুশ সেনা। নতুন করে সামরিক অভিযান নিয়ে জেলেনস্কিদের সতর্ক করে অনেকেই বলছে, ঠান্ডার জেরেই নেপোলিয়নকে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই হারতে হয়েছিল। একইভাবে ‘জেনারেল উইন্টার’-এর দাপটে বিপর্যস্ত হয়েছিল নাৎসি বাহিনী। তাই শীতের মরশুমে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।