• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

নোট বাতিলের মামলা মোদির পক্ষেই 

দিল্লি, ২ জানুয়ারি– ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, রাত ৮টা এই দিনটা গোটা ভারতবাসীর কাছে কখনো না ভোলার মত দিন। কারণ এই দিনটাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরনো ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিলের আচমকা ঘোষণা করেন।  সেই সময় শুধু বিরোধী দলগুলিতেই নয় গোটা ভারতবর্ষেই প্রশ্ন ওঠে। পরবর্তীকালে সেই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এই বিষয়ে

দিল্লি, ২ জানুয়ারি– ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, রাত ৮টা এই দিনটা গোটা ভারতবাসীর কাছে কখনো না ভোলার মত দিন। কারণ এই দিনটাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরনো ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিলের আচমকা ঘোষণা করেন। 

সেই সময় শুধু বিরোধী দলগুলিতেই নয় গোটা ভারতবর্ষেই প্রশ্ন ওঠে। পরবর্তীকালে সেই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এই বিষয়ে একাধিক মামল হয় সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানাল, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে আইনত বৈধ ছিল। আরও বলা হয় রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে ছ’মাস ধরে আলোচনার পরেই নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এইসঙ্গে এদিন নোটবন্দী বিরোধি যাবতীয় মামলা খারিজ করে শীর্ষ আদালত।

কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। যেমন, শুধু মোদির সিদ্ধান্ত? নাকি রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার পরে ঘোষণা, সংসদীয় প্রক্রিয়া কী ছিল? নোট বাতিলের ফলে কী কী লাভ হয়েছে দেশের? এমন প্রশ্নে মোট ৫৮টি মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত কয়েক মাসে ধরে যার শুনানি চলছিল বিচাপতি আবদুল নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানাল, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক কোনও সিদ্ধান্তকে পালটে দেওয়া যায় না। এমনকী কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বিবেচনা করেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত বদলানো যায় না। এছাড়াও রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার পরেই যে সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র, তাও জানিয়েছেন বিচারপতিরা।

নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের মামলা চলছিল বিচারপতি আবদুল নাজির, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি ভি সুব্রহ্মণ্যম এবং বিচারপতি বিভি নাগারত্নের বেঞ্চে। আগেই জানা গিয়েছিল বিচারপতি আবদুল নাজির ৩ জানুয়ারিতে অবসর নেবেন। তার আগে ২ জানুয়ারি এই মামলার রায় ঘোষণা হবে। সেই মতোই সোমবার নোট বাতিল মামলার রায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় মোদি সরকারের পক্ষেই গেল। এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বদলের জন্য ৫২ দিন সময় দিয়েছিল কেন্দ্র। তা ছিল যথেষ্ট সময়।