পাটনা, ২৬ ডিসেম্বর– ফের বিপদে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। সবে কিডনি পাল্টে একটু স্বস্তি পেয়েছেন এর মাঝেই দুঃসংবাদ। ২০২১ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া ডিএলএফ ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলা ফের নতুন করে শুরু করল সিবিআই । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল, লালুর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ার কয়েক মাস পরেই আবার এই মামলা নতুন করে শুরু করতে চলেছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে সিবিআই। ইউপিএ সরকারে রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দেশের অন্যতম বৃহৎ রিয়েল এস্টেট সংস্থা ডিএলএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মুম্বই-বান্দ্রা রেল প্রজেক্টের জমি লিজ পাওয়ার জন্য এবং নিউ দিল্লি রেল স্টেশন বানানোর ঠিকা পাওয়ার জন্য তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে ঘুষ দেয়। এই চুক্তি এবং লিজ পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে উপঢৌকন হিসেবে দক্ষিণ দিল্লির একটি জমি লালুর ছেলে তেজস্বী যাদব এবং দুই মেয়ে রাগিনি এবং চন্দ্রা যাদবেকে দান করে ডিএলএফেরই শেল কোম্পানি এবি এক্সপোর্ট।
লালু ছাড়াও সিবিআই তদন্তের নজরে ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। সেই সঙ্গে সিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে নাম ছিল চন্দ্রা ও রাগিনিরও। তবে ২০২১ সালের মে মাসে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মামলা চালিয়ে যাওয়ার মতো উপযুক্ত প্রমাণ নেই, এই যুক্তি দেখিয়ে লালুর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।