• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘মহিলা নিষিদ্ধ’ দেশে আফগান মহিলাদের চিৎকার ‘বরং মাথা কেটে নিন’

কাবুল, ২৬ ডিসেম্বর– মহিলাদের ওপর একের পর এক তালিবানি ফতোয়া। কখনো পোশাক তো কখনো শিক্ষা। সব কিছুই যেন নিষিদ্ধ মহিলাদের জন্য। কিন্তু এই না এর দেশে আর কোনো কিছুই সইতে রাজি নন মহিলারা। আর তাই আফগান মহিলারা গর্জে বলেছেন, ‘অজ্ঞানতার অন্ধকারের চাইতে মৃত্যু ভাল।’ তালিবানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশে ফতোয়ার বিরুদ্ধে এভাবেই গর্জে উঠলেন আফগান মহিলারা। তাঁদের

কাবুল, ২৬ ডিসেম্বর– মহিলাদের ওপর একের পর এক তালিবানি ফতোয়া। কখনো পোশাক তো কখনো শিক্ষা। সব কিছুই যেন নিষিদ্ধ মহিলাদের জন্য। কিন্তু এই না এর দেশে আর কোনো কিছুই সইতে রাজি নন মহিলারা। আর তাই আফগান মহিলারা গর্জে বলেছেন, ‘অজ্ঞানতার অন্ধকারের চাইতে মৃত্যু ভাল।’ তালিবানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশে ফতোয়ার বিরুদ্ধে এভাবেই গর্জে উঠলেন আফগান মহিলারা। তাঁদের স্পষ্ট কথা, “বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি না করে তালিবান যদি আমাদের মাথা কেটে নিত, অনেক ভাল হত।”

সম্প্রতি আফগান মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার উপরে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান। মৌলবাদী শাসকরা স্পষ্ট করেছে, এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানোর আগে অবধি মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার অধিকার থাকছে না। এর ফলে কার্যত নয়ের দশকের পরিস্থিতি ফিরে এল আফগানিস্তানে। আখুন্দজাদার দলের এহেন ফতোয়ায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ ছাত্রীর। এর প্রতিক্রিয়ায় মারওয়া নামের এক মেধাবী আফগান ছাত্রী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি না করে তালিবান যদি আমাদের মাথা কেটে নিত, অনেক ভাল হত।”

সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বছর উনিশের মারওয়া জানান, সম্প্রতি প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করেছেন তিনি। ইচ্ছা ছিল আগামী মার্চ থেকেই কাবুলের একটি মেডিক্যাল কলেজে নার্সিং ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা শুরু করার। কিন্তু তালিবানের ফতোয়ায় তাঁক মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “এ দেশে পশুদের থেকেও মহিলাদের অবস্থা খারাপ। পশুরা নিজেদের ইচ্ছামতো যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াতে পারে। আমাদের সেই স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”