পদত্যাগের জন্য নিজের দলের ভিতর থেকেই চাপ আসছিল।শেষমেষ নিজে থেকেই পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।তবে তিনি এখন তদারকি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করবেন।নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত পদে থাকবেন টেরেসা মে।
শুক্রবার পদ ছাড়ার কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।বিবৃতিতে জানান, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলাম না।তিন বার ব্রেক্সিট প্রস্তাব পার্লামেন্টে তােলা হয়েছিল।প্রতিবারই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে’।
এবার ব্রেক্সিট নিয়ে আলােচনার প্রস্তাব তােলার পর থেকেই টেরেসার নিজের দল দল কনজারভেটিভ পার্টির ভিতর থেকে তাঁকে সরানাের চাপ আসতে থাকে।দলের একাংশ চাপ দেয় নিজে থেকেই পদত্যাগ করুক মে।এদিন জানান হয়েছে নতুন প্রধানমন্ত্রী শপথ না নেওয়া পর্যন্ত তদারকি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন টেরেসা।তিনি জানিয়েছেন, ‘আশা করি দেশের স্বার্থেই কাজ করবেন নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী’।তবে শােনা যাচ্ছে বিদেশমন্ত্রী বরিস জনসনকে বসানাে হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর কুর্শিতে।ইউরােপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীন ব্রিটেনের স্বপ্ন দেখেছিলেন টেরেসা মে।তবে নিজের দলের বিরােধিতার মুখেই তাঁকে বারবার পড়তে হয়েছে।বেশ কয়েকজন কনজারভেটিভ নেতা দল থেকে বেরিয়ে যান। তারপরও নিজের পদ থেকে সরতে চাননি টেরেসা।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন।ব্রিটিশ মন্ত্রী অম্বর রুড জানিয়েছেন , ‘সাহসিকতার পরিচয় দেখিয়েছেন টেরেসা মে।তিনি জনগণের প্রতিনিধি।শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছেন ব্রেক্সিট প্রস্তাব পাশ করাতে’।বিদেশ সচিব জেমেরি হান্ট| বলেন , ‘তিনি একজন প্রকৃত জননেত্রী’।
জুনের গােড়াতে ব্রেক্সিট নিয়ে আলােচনা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের হুইপ মার্ক স্পেনসার।সম্ভবত জুনের গােড়ার দিকে ব্রেক্সিট নিয়ে আলােচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।টেরেসা মে সরকারের ব্রেক্সিট নীতির প্রতিবাদে হাউস অফ কমন্স থেকে পদত্যাগ করেন অ্যান্ড্রেয়া লিন্ডসােম।বুধবার রাতে পদত্যাগ করেন কনজারভেটিভ নেত্রী।তাঁর মতে,মে-র পদত্যাগের জল্পনা প্রবল হয়ে ওঠে। বিদেশমন্ত্রী জেরেমি হান্ট জানিয়েছেন, ‘জুনের গােড়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প লন্ডন সফরে আসবেন।সম্ভবত তিনি ৩-৫ জুনের মধ্যে ব্রিটেনে আসবেন। তারপরই মে পদত্যাগ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে’।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন চতুর্থবার ব্রেক্সিট বিল পাশের পরই মে ইস্তফা দেবেন , কিন্তু তাঁর আগেই তিনি পদত্যাগ করলেন।ক্যাবিনেট সুত্রে খবর,৭ জুন ব্রেক্সিট নিয়ে আলােচনা হবে পার্লামেন্টে।