• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

স্ত্রীর খুনে জেল খাটার পর স্বামী জানলেন মৃতা দিব্যি সংসার করছে অন্য কোথাও 

জয়পুর, ১২ ডিসেম্বর– স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে করতে আচমকাই গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন বধূ। স্ত্রীর বাবার অভিযোগে জামাই এবং তার এক বন্ধুকে খুনের দায়ে জেল খাটতে হয়। দীর্ঘ ৬ বছর হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তি পান তারা। আর জেল থেকে ফিরে জানতে পারেন ‘মৃতা’ বধূ শুধু যে জীবিতই আছেন তা নয়, দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে দিব্যি সুখে শান্তিতে

জয়পুর, ১২ ডিসেম্বর– স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে করতে আচমকাই গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন বধূ। স্ত্রীর বাবার অভিযোগে জামাই এবং তার এক বন্ধুকে খুনের দায়ে জেল খাটতে হয়। দীর্ঘ ৬ বছর হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তি পান তারা। আর জেল থেকে ফিরে জানতে পারেন ‘মৃতা’ বধূ শুধু যে জীবিতই আছেন তা নয়, দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে দিব্যি সুখে শান্তিতে সংসার করছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের দৌসা গ্রামে। বৃন্দাবনের বাসিন্দা ২৬ বছরের তরুণী আরতি দেবীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সোনু সাইনি নামে এক যুবকের। ২০১৫ সালে হঠাৎই একদিন নিখোঁজ হয়ে যান আরতি। বৃন্দাবন থানায় তাঁর বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে সোনু (৩২) এবং তাঁর বন্ধু গোপাল সাইনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোনু ১৮ মাস এবং গোপাল ৯ মাস জেলে কাটানোর পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পান।

সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে বৃন্দাবনে নিজের বাড়ি থেকে ইচ্ছাকৃতভাবেই পালিয়ে গিয়েছিলেন আরতি। 

পুলিশ জানিয়েছে, বাবা সুরজ প্রকাশ গুপ্তার সঙ্গে মেহেন্দিপুর বালাজি মন্দিরে ঘুরতে গিয়েছিলেন আরতি। সেই সময় সোনুর সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। পরে বাবাকে না জানিয়েই সোনুকে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন আরতি। এরপর মেয়েকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে বৃন্দাবন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুরজ প্রকাশ। তারও কয়েক মাস পর মেয়ের কোনও খোঁজ না মেলায় পরের বছর মার্চ মাসে সোনু, গোপাল এবং আরও একজনের বিরুদ্ধে আরতিকে খুনের অভিযোগ আনেন তিনি। তার উপর ভিত্তি করেই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর এলাহাবাদ আদালত জামিনে মুক্তি দেয় দুজনকে।

পুলিশ জানিয়েছে, আরতির কাছে ভিন্ন জন্ম তারিখ দেওয়া দুটি আধার কার্ড পাওয়া গেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, সোনু জানতেন, আরতি বাবাকে না জানিয়েই তাঁকে বিয়ে করেছেন, এবং মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুরজ প্রকাশ। অভিযোগ জানালে পুলিশ তাঁকেই দোষী ভেবে নেবে, সেই ভয় থেকেই আরতি দ্বিতীয়বার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরেও তাই থানায় খবর দেননি সোনু। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশি তদন্তে ফেঁসে যান তিনি।