• facebook
  • twitter
Saturday, 2 November, 2024

সীতার হাতে আর ভাতই খাবেন না ৪২ বছরের ভীষ্ম প্রতিজ্ঞা রামের 

কটক, ৯ ডিসেম্বর-– ৪২ বছরের ভীষ্ম প্রতিজ্ঞা। স্ত্রীর হাতে ভাত খাবেন না। পাঁচ কন্যা ও দুই পুত্রসন্তান, স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর সংসার ছিল ভরপুর। কিন্তু ক্ষনিকের রাগে সেই সুখের জীবন পাল্টালো রাম-সীতার।ওড়িশার জাজপুর জেলার রসুলপুর ব্লকের লক্ষ্মীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভিকিপুর গ্রামের বাসিন্দা রামচন্দ্র পেশায় দিনমজুর। যখন কাজ জোটে না, তখন শুকনো মাছ বিক্রি করে দু’বেলার অন্ন

কটক, ৯ ডিসেম্বর-– ৪২ বছরের ভীষ্ম প্রতিজ্ঞা। স্ত্রীর হাতে ভাত খাবেন না। পাঁচ কন্যা ও দুই পুত্রসন্তান, স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর সংসার ছিল ভরপুর। কিন্তু ক্ষনিকের রাগে সেই সুখের জীবন পাল্টালো রাম-সীতার।ওড়িশার জাজপুর জেলার রসুলপুর ব্লকের লক্ষ্মীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভিকিপুর গ্রামের বাসিন্দা রামচন্দ্র পেশায় দিনমজুর। যখন কাজ জোটে না, তখন শুকনো মাছ বিক্রি করে দু’বেলার অন্ন সংস্থান করেন তিনি। 

এক দিন কাজে বেরোনোর সময় স্ত্রী সীতাকে খাবার রান্না করে রাখতে বলেছিলেন রাম। ঠিক করেছিলেন, কাজ সেরে বাড়ি ফিরে সেই খাবার খাবেন। কিন্তু সংসারের নানা কাজ সামলাতে গিয়ে স্বামীর জন্য সে দিন খাবার রান্না করতে পারেননি সীতা। বাড়ি ফিরে খাবার না পেয়ে কয়েক মুহূর্তেই রেগে যান রাম। তার পরই রাগের বশে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়।

ক্রোধের জেরে রাম সে দিন প্রতিজ্ঞা করে ফেলেন যে, সীতার হাতে তৈরি অন্ন আর কখনও মুখে তুলবেন না। এমনকি, নিজের বাড়ি ছেড়ে একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে সেখানে বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। এ ভাবেই ৪২টা বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও নিজের প্রতিজ্ঞা ভাঙেননি রাম। সে দিনের পর থেকে আর ভাত খাচ্ছেন না রাম। সারা দিন মুড়ি খেয়েই ক্ষুধা মেটান তিনি। বন্ধু-স্বজনরা তাঁকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে এক চুলও সরেননি রাম।

রাম-সীতার ছেলেমেয়েদের বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে ছেলে-বৌমা, নাতি-নাতনিদের সঙ্গেই দিন কাটাচ্ছেন সীতা। তবে স্ত্রীর সঙ্গে মান-অভিমান চললেও দৈনিক কাজের পারিশ্রমিক নিয়মিত সীতাকে দিচ্ছেন রাম