লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা চলছে। বুথ ফেরত সমীক্ষা যা বলেছিল তা-ই বাস্তবায়িত হতে চলেছে। ‘ফির এক বার মোদি সরকার’ হতে চলেছে। বিজেপির ট্যালি ৩০০-র গণ্ডি পার করে গেছে। সেখানে এই নিবেদনটি লেখার সময় কংগ্রেস ৫০-র গণ্ডি পার করতে পারেনি।
১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে, সাত দফায় হয়েছিল ১৭তম লোকসভা নির্বাচন। আর আজ ২৩ মে তার ফলাফল ঘোষণার দিন। সকাল ৮টা থেকেই ভোটগণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রায় সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারেই ফিরে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে, যদিও সমস্ত বিরোধী দলই এই বুথ ফেরত সমীক্ষা নাকচ করেছে। ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৫৪২ আসনের ভোটের গণনার পরই জানা যাবে কোন দল সরকার গঠন করবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৬৭ শতাংশ জনতা তাদের ভোটদানের অধিকার প্রয়োগ করেছেন ৮,০৪৯ প্রার্থীর মধ্যে থেকে তাদের পছন্দসই সাংসদ নির্বাচন করতে।
এই প্রথমবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ইভিএম গণনার পর প্রতি লােকসভা আসনের অন্তর্ভুক্ত বিধানসভা পিছু পাঁচটা করে বুথের ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনা করা বাধ্যতামূলক। ১০.৩ লাখ ভোটদান কেন্দ্রের মধ্যে এই মিল খাতিয়ে দেখা হবে ২০,৬০০ ভোটদান কেন্দ্রের। যদি কোনও গড়মিল হয় তাহলে ভিভিপ্যাট পেপার স্লিপের গণনাকেই মান্যতা দেওয়া হবে।
এই মিল খাতিয়ে দেখার জন্য চার থেকে পাঁচ ঘন্টা বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ২৮২ আসন আর কংগ্রেস জিতেছিল তাদের সর্বনিম্ন ৪৪ আসন যা ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে ছিল ২০৬ আসন। এর ফলে কংগ্রেস বিরোধী দলের নেতৃত্ব গ্রহন করতে পারেনি কারন তাদের ১০ শতাংশ আসন ছিল না। অন্য কোনও দলও ১০ শতাংশ আসন আরহন করতে পারেনি তাই একটা পুরো অধিবেশনের কাল বিরোধী দলনেতা ছাড়াই চলে গেল।
এবারের ভোটের হার ৬৭.১১ শতাংশ যা লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।
৫৪৩ লোকসভা আসনের মধ্যে ৫৪২ আসনেই ভোট হয়েছে। ভেলোর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে দেওয়া হয় কারন সেখান থেকে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ আসে। নতুন কোন দিন এখনও ধার্য করা হয়নি।
হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি, ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধি।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বড় ব্যবধানে জিততে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে সকল বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন ভিভিপ্যাট ও ইভিএমের মিল হওয়ার পরেই তাঁর দল কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেবেন।
ভোট গণনার প্রবণতা দেখাচ্ছে বিজেপি ভালো আসন দখল করতে সক্ষম হয়েছে। এই নিবেদন লেখার সময় পদ্মশিবির ১৯ আসনে এগিয়ে। ২০১৪ নির্বাচনে তারা মাত্র ২টি আসন জিতেছিল। আসন লাভের শতাংশ হিসাবে বিজেপির সবচেয়ে বড় সাফল্য বাংলাতেই।
এদিকে তৃণমূল ৪২ আসনের মধ্যে ২২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।