• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

করোনা ফল, চিনের আইফোন কারখানায় উত্তাল কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ নিরাপত্তা রক্ষীদের

বেইজিং, ২৪ নভেম্বর– ২০২০ সাল, চিনের উহান ল্যাব থেকে ছড়িয়ে পরে অতিমারী করোনা। এমনটাই দাবি বিশ্বের তাবড়-তাবড় দেশের। যদিও তা মানতে নারাজ চিন। কিন্তু অন্যান্য দেশের মত তাদেরও লড়তে হয়েছে এই অতিমারী থেকে। কিন্তু সেই লড়াই যেন থামতেই রাজি নয় চিনে। গত তিন সপ্তাহে আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। এর ফলে লাগাতার কঠোর করোনা বিধির

বেইজিং, ২৪ নভেম্বর– ২০২০ সাল, চিনের উহান ল্যাব থেকে ছড়িয়ে পরে অতিমারী করোনা। এমনটাই দাবি বিশ্বের তাবড়-তাবড় দেশের। যদিও তা মানতে নারাজ চিন। কিন্তু অন্যান্য দেশের মত তাদেরও লড়তে হয়েছে এই অতিমারী থেকে। কিন্তু সেই লড়াই যেন থামতেই রাজি নয় চিনে। গত তিন সপ্তাহে আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। এর ফলে লাগাতার কঠোর করোনা বিধির মুখে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। যার জেরে জন্ম নিচ্ছে তীব্র অসন্তোষ। এবার বিক্ষোভ ছড়িয়েছে সেদেশের ঝেংঝউ প্রদেশে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম আইফোনের কারখানা রয়েছে।

এই কারখানার কর্মীদের দাবি, পারিশ্রমিক থেকে কারখানার ভিতরে থাকার ব্যবস্থা, কোনও কিছুতেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি সংস্থা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় কর্মীদের। অবস্থা সামলাতে নির্মাতা সংস্থা ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যে কর্মীরা চলে যাবেন, তাঁদের প্রত্যেককে ১ হাজার ৪০০ ডলার দেওয়া হবে। ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৩৫৪ টাকা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই নতুন কর্মী।

বছর দুয়েক আগে করোনা মহামারীর তাণ্ডবে যখন গোটা বিশ্ব ত্রস্ত ছিল, তখন সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিল চিন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি যেন ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। একের পর এক শহরে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর তাই গত কয়েক মাস ধরেই কড়া লকডাউনের পথে হেঁটেছে বেজিং। যেখানেই মাথাচাড়া দিয়েছে সংক্রমণ, সেখানেই জারি হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা।

এর আগেও আইফোন কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগ তুলেছিল কর্মীরা। সেই বিতর্ক আরও বড় আকার ধারণ করেছে এবার।