• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

টাকা ফেরত চাইতেই তরুণীকে খুন, দেহ ৪ দিন গাড়িতে রেখে দিল যুবক

রাঁচি, ২১ নভেম্বর– প্রথমে প্রতারণা পরে সেই টাকা চাওয়ায় তরুণীকে নৃশংস ভাবে খুন করল যুবক। খুন করার পর তরুণীর দেহ  চার দিন ধরে একটি পরিত্যক্ত গাড়ির ভেতর ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে।  ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীশগড়ের বিলাসপুরে। অভিযুক্তের নাম আশিস সাহু। বিলাসপুরে তার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, আদতে ভিলাইয়ের বাসিন্দা ২৪

রাঁচি, ২১ নভেম্বর– প্রথমে প্রতারণা পরে সেই টাকা চাওয়ায় তরুণীকে নৃশংস ভাবে খুন করল যুবক। খুন করার পর তরুণীর দেহ  চার দিন ধরে একটি পরিত্যক্ত গাড়ির ভেতর ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে। 

ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীশগড়ের বিলাসপুরে। অভিযুক্তের নাম আশিস সাহু। বিলাসপুরে তার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, আদতে ভিলাইয়ের বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সি প্রিয়াঙ্কা সিংহের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আশিসের। প্রিয়াঙ্কা বিলাসপুরের দয়ালবন্দ এলাকায় একটি বাড়িতে থাকতেন। তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

আলাপের কিছুদিন পরেই প্রিয়াঙ্কাকে শেয়ারবাজারে টাকা বিনিয়োগ করার বিষয়ে রাজি করায় আশিস। তার কথা মতোই শেয়ার মার্কেটে টাকা খাটাতে শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। প্রাথমিকভাবে তিনি বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লাভ করেন। কিন্তু তা কিছুদিন পরেই ১১ লক্ষ টাকা লোকসান হয় তাঁর।

এরপরই আশিসের উপর খেপে ওঠেন প্রিয়াঙ্কা। টাকা ফেরত চাইতে তিনি আশিসের ওষুধের দোকানে পৌঁছে যান। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপরেই সুযোগ বুঝে প্রিয়াঙ্কারই ওড়না তাঁর গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে আশিস।

খুন এরপর প্রাথমিকভাবে প্রিয়াঙ্কার দেহটি ওষুধের দোকানেই রেখেছিল অভিযুক্ত। কিন্তু পচন ধরার পর দেহটি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে গাড়িতে করে প্রিয়াঙ্কার মৃতদেহ কস্তুরবা নগরে নিজের বাড়ির কাছে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে যায় আশিস। তারপর মৃতদেহ সমেত গাড়িটি সেখানেই রেখে দেয় সে।

৪ দিন দেহটি ওইভাবেই পড়ে ছিল বলে জানা গেছে। শনিবার গাড়িটি থেকে দুর্গন্ধ থেকে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে গাড়ির ভিতর থেকে প্রিয়াঙ্কার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে। অন্যদিকে গত বেশ কয়েকদিন প্রিয়াঙ্কার খোঁজ না পাওয়ায় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার পরিবারের লোকজন। এরপরেই তাঁদের ডেকে পাঠায় পুলিশ। তাঁরা এসে প্রিয়াঙ্কার মৃত দেহটি শনাক্ত করেন।

এরপর তদন্ত চালিয়ে প্রিয়াঙ্কার মোবাইল থেকে আশিসের খোঁজ পায় পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জেরার মুখে সে স্বীকার করে, টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই প্রিয়াঙ্কাকে খুন করেছে সে।